দিল্লি উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। ছবি: পিটিআই ।
ভোটপ্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত দিল্লি উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমার! মালা পরানোর নাম করে এসে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মুখে কালিও ছিটিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্তারনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। কানহাইয়ার পাশাপাশি, দুষ্কৃতীরা আম আদমি পার্টি (আপ)-র কাউন্সিলর ছায়া গৌরব শর্মার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই আপ কাউন্সিলর পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ছায়ার অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রথমে তাঁর পরনের শাল টেনে খুলে দেয়। পরে তাঁর স্বামীকে এক পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। তাঁদের দিকে কালো কালি ছোড়া হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। কানহাইয়ার অভিযোগ, বিজেপির প্ররোচনাতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্মশিবির।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রচারে বেরিয়ে আপের কর্তারনগরের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন কানহাইয়া। সেখানে আপ কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসার সময়ই ঘটনাটি ঘটে। সেই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুলিশ কমিশনার বলেন, “সাক্ষাতের পরে কানহাইয়াকে বাইরে ছাড়তে এসেছিলেন আপ কাউন্সিলর ছায়া। তখন কিছু লোক এসে কানহাইয়াকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে মালা পরিয়ে দেওয়ার পর মারধর করা হয়। গায়ে কালি ছোড়া হয়। আপ কাউন্সিলর বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।’’
পুরো ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যম প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োয় দু’জন ব্যক্তিকে হামলার দায় স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কানহাইয়া কুমার দেশ ভাগ করার কথা বলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাই আমরা আজকে ওকে উচিত শিক্ষা দিয়েছি। যাঁরা দেশভাগের কথা বলেন, তাঁদের আমরা দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেব না।’’
যদিও তাঁর উপর হামলা চালানোর দায় বিজেপির ঘাড়েই ঠেলেছেন দিল্লি উত্তর-পূর্বের কংগ্রেস প্রার্থী। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বিজেপি প্রার্থী মনোজ তিওয়ারিই এই হামলার প্ররোচনা দিয়েছেন। কানহাইয়ার দাবি, তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে বিজেপি প্রার্থী ‘হতাশ’, এবং সেই কারণেই গুন্ডা পাঠিয়ে হামলা চালিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy