শুভেন্দু অধিকারী রঘুনাথপুরে আসার আগেই শহরের মিশন রোডে রাস্তার বিভিন্ন অংশে কংগ্রেসের পোস্টার। ছবি: সঙ্গীত নাগ।
প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তকারী সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে রাতারাতি দল পাল্টে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাসকদল তৃণমূলের তরফে বারেবারেই এমন অভিযোগ তোলা হয়। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে জেলার ছেলেমেয়েদের চাকরি চুরির অভিযোগ তুলে পোস্টার দিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বশীল’ আখ্যা দিয়েছে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। পাল্টা শুভেন্দুর দাবি, “চাকরি চুরি হয়েছে সবাই জানেন। আর প্রধানমন্ত্রী মোদীজি ছিলেন বলে, ভারত সরকারের এজেন্সি ছিল বলেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরা জেলে গিয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথপুরে এসেছিলেন শুভেন্দু। তার আগে শহরের নানা এলাকায় দেখা গিয়েছে ‘পুরুলিয়ার চাকরি চোর দূর হটো’ লেখা পোস্টার। সৌজন্যে, রঘুনাথপুর শহর কংগ্রেস। পোস্টারে শুভেন্দুর নাম উল্লেখ না থাকলেও রঘুনাথপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি তারকনাথ পরামানিকের দাবি, “ওই পোস্টার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশেই। ছোট মাপের পোস্টার হওয়ায় জায়গার অভাবে ওঁর নাম লেখা সম্ভব হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, “সবাই জানেন যে পুরুলিয়ার হাজার হাজার বেকার ছেলেমেয়েকে বঞ্চিত করে মেদিনীপুরের ছেলেমেয়েদের এখানে চাকরি দেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু। তার পরে ওই ছেলেমেয়েদের মেদিনীপুরে নিজের জেলায় বদলির ব্যবস্থা করেই তৃণমূল ছাড়েন তিনি। পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত দুর্নীতি।”
শুভেন্দু বলেন, “২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার ছিল। সারদা, রোজভ্যালিতে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও মনমোহন সিংহের সরকার মমতাকে ছোঁয়নি। মোদীজি ছিলেন বলেই আজ রাজ্যের শিক্ষা, খাদ্য, রেশন—সব দফতর জেলের মধ্যে।” তাঁর সংযোজন, “২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রথমে সিপিএম পরে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা ছিলেন রাজ্যে। তারা কী করেছেন! আর ২০২১ সাল থেকে বিজেপির বিরোধী দলনেতা কী ভূমিকা নিয়েছেন, সেটাও সবাই দেখছেন।” তৃণমূলের রঘুনাথপুর শহর সভাপতি বিষ্ণুচরণ মেহেতা বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, প্রাথমিকে চাকরি চুরির অন্যতম কারিগর শুভেন্দু অধিকারী। দায়িত্বশীল দল হিসাবে কংগ্রেস তা আবার সামনে এনেছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ারও দাবি, “শুভেন্দু অধিকারীর চাকরি দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার বিষয়টি কংগ্রেস আবার নতুন ভাবে সামনে নিয়ে এল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy