প্রতীকী চিত্র।
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী দিলেও রানাঘাটে কেন্দ্রে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বামেরা। আবার গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস রাজ্যের আট কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও কৃষ্ণনগর বা রানাঘাট কেন্দ্রে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। জোটের দাবি মেনে কংগ্রেস যদি কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকে তা হলে পড়ে রইল রানাঘাট কেন্দ্র। জেলার রাজনৈতিক মহলের দাবি, রানাঘাট কেন্দ্রে কংগ্রেসের ভিত তেমন পোক্ত নয়। সেখানেও যদি বামেরা প্রার্থী দেয় তা হলে লোকসভা নির্বাচনে জেলায় কার্যত কংগ্রেসের পতাকা উঠবে না। যা ভাবাচ্ছে দলের নেতাদের।
কংগ্রেসের সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংগঠনিক ভাবে কংগ্রেস রানাঘাট কেন্দ্রে বেশ দুর্বল। তাই লড়াই না-করাই পরামর্শ দিয়েছেন নেতাদের একাংশ। আবার অন্য পক্ষের দাবি, কৃষ্ণনগরে সিপিএম লড়াই করবে। ফলে রানাঘাটে লড়াই না-করলে গোটা জেলায় কংগ্রেসের পতাকা উঠবে না। আগামী নির্বাচনে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।ফলে শেষ পর্যন্ত রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস-বামেদের জোট কোন দিকে যায় তা দেখার অপেক্ষায় দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা।
পঞ্চায়েত ভোটে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে অপেক্ষাকৃত ভাল ফল করেছে সিপিএম। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট ছিল নয় শতাংশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা বেড়ে হয় প্রায় ২১ শতাংশ। ফলে এই কেন্দ্রের উপর সিপিএমের বিশেষ নজর রয়েছে। তারা অনেক আগেই ওই কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছেন।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন নিয়ে দর কষাকষির সময় রানাঘাট কেন্দ্রটি বামেরা কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দেয়। কংগ্রেস সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে ওই কেন্দ্র তারা ভোট পেয়েছে মাত্র দেড় শতাংশ। সিপিএম পেয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। ফলে এই আসনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে বামেরা যেমন উৎসাহ দেখাচ্ছে না, তেমনই রাজি হচ্ছেন না কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বও। জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের এই আপত্তির কথা প্রদেশ নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছে। জেলা সভাপতি অসীম সাহা অবশ্য বলছেন, ‘‘রানাঘাট আসন নিয়ে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব না। এখন প্রদেশের সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত।’’
তবে রানাঘাট লোকসভা এলাকার কংগ্রেস নেতাদের অনেকেই ওই ‘মরা’ আসনে প্রার্থী দিতে চাইছেন। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতি শঙ্কর সরকার, চাকদহের বাসিন্দা সংখ্যালঘু সেলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সিদ্দিকিরা বলছেন, ‘‘কংগ্রেসের জন্য রানাঘাট কেন্দ্রটি ছাড়া হয়েছে। আমরা সংগঠনের স্বার্থেই এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করতে চাই। জেলা নেতৃত্বকে সেটা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’ সেই মতো প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে চার জনের মতো বায়োডাটাও জমা দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস এই নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy