মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভোট ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে উত্তরবঙ্গে একাধিক জনসভা থেকে রোড-শো, মিছিল করার কথা ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হঠাৎ বাড়িতে দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়ে তিনি এখন বাড়িতে চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে আছেন। ফলে তাঁর প্রচার এখনও অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় দলের অন্যতম নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি ছাড়াও রাজ্য ও জেলার নেতাদের এলাকায় এলাকায় প্রচারে নামিয়ে উত্তরবঙ্গ ‘উদ্ধারে’র পরিকল্পনা তৈরি করেছে শাসক দল। রবিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। আজ, গঙ্গারামপুরের স্টেডিয়ামে জনসভা রয়েছে অভিষেকের।
রবিবার শিলিগুড়ির শহরের পাশেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের হয়ে বেশ কিছু এলাকায় প্রচার হয়েছে। দার্জিলিং কেন্দ্রের প্রার্থী গোপাল লামাও সমতলের বিভিন্ন এলাকায় জেলার নেতাদের নিয়ে প্রচার করেছেন। রায়গঞ্জের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী থেকে মালদহ উত্তর বা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সর্বত্র জেলার নেতারা দলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন। এর পরে রাজ্যস্তর থেকে নেতানেত্রীরা আসার শুরু করবেন। তেমনিই, দলের হয়ে নামী প্রচারকেরাও থাকবেন। প্রতি জেলা থেকে প্রচারকদের নামের আবেদনের তালিকা কলকাতায় যাওয়া শুরু করেছে। দলের সব জেলায় নেত্রীকে চাইলেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র নিয়েই প্রচারে নামবেন বলে দলের শীর্ষস্তর থেকে জেলাগুলিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা এখনও অনেকটাই অনিশ্চিত রয়েছে।
দলের জাতীয় কর্মসতির সদস্য তথা মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমি গ্রামে, শহরে পুরোপুরি প্রচারে নেমে পড়েছি। নেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা সবাই করছেন। জেলা থেকে রাজ্যস্তরে সমন্বয় রেখে সব জেলাতেই নিজেদের মতো প্রচার চলবে।’’
এ বার ঠিক হয়েছে, উত্তরবঙ্গে দলনেত্রী মমতা একাধিক জেলায় সভা, মিছিল করবেন। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শিলিগুড়িতে বিরাট রোড-শো হবে। সবই পরিকল্পনা নিয়ে দল কাজও শুরু করেছে। একটি পরামর্শদাতা সংস্থা শাসক দলকে এ বিষয়ে কিছু ক্ষেত্রে সাহায্যও করেছেন। কিন্তু নেত্রীর দুর্ঘটনা এবং বাড়ি বিশ্রামে থাকায় প্রচারের পরিকল্পনায় কিছুটা অদলবদল হচ্ছে। ভোট প্রচারের একেবারে শেষ দিকে নেত্রীকে পাওয়া যেতে পারে মনে করা হচ্ছে।
সে ক্ষেত্রে তিনি একাধিক জেলা সফরও কতটা করবেন তাতেও সংশয় রয়েছে। সেই জায়গায় অভিষেক-সহ রাজ্য নেতারা নিজেরাই গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচারের ঝড়় তোলার চেষ্টা করবেন। উত্তরবঙ্গে প্রথম দিকে ভোট হওয়ায় কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ থেকে নেতারা আসবেন। এ দিকে, ভোট শেষ হলে উত্তরেরর কিছু নেতাকে দক্ষিণবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে বলে আপাতত ঠিক রয়েছে। দলের এক রাজ্য স্তরের নেতা বলেন, ‘‘দিদি আপাতত সশরীরে থাকতে পারছেন। তাই ওঁর ছবি, কাটআউট সামনে রেখেই প্রচার চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy