রায়গঞ্জে মমতার পদযাত্রা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। আজ, শনিবার হেমতাবাদের থানামাঠে দলের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সফরসূচি বদল করে শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে পদযাত্রা করেন।রাতে মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তোলেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সি-ভিজিল পোর্টালে অভিযোগও জমা পড়ে। ভিক্টরের দাবি, এ দিন রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে ঘড়িমোড় পর্যন্ত মমতার রোড-শো ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি ছিল। কিন্তু ওই অনুমতি অমান্য করে শহরের বিদ্রোহী মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা হয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, ‘‘ভিক্টর জানেন না। পরে, বর্ধিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির অনুমতি নিয়েছি।’’
আজ, শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ হেমতাবাদে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তবে শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়িতে নির্বাচনী জনসভা শেষ করে মমতা রায়গঞ্জ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জলপাইগুড়িতে এ দিন বলেন, ‘‘আবহাওয়া যেহেতু খারাপ থাকবে তাই আজকেই রায়গঞ্জ যাচ্ছি।’’ সে বার্তা রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার কর্তাদের কাছে পৌঁছয়। রায়গঞ্জ শহরের একটি হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে মমতার হেলিকপ্টার নামে। তিনি সড়কপথে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ওই হোটেলে গিয়ে পৌঁছন। কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে মমতা শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে বিদ্রোহী মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করে কৃষ্ণের সমর্থনে প্রচার চালান। পদযাত্রা চলাকালীন কোথাও দাঁড়িয়ে, কোথাও বিভিন্ন দোকানে ঢুকে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। পদযাত্রা করার সময়ে অনেকে তাঁর পায়ে ছুঁয়ে প্রণাম করেন। বিদ্রোহী মোড়ে মহাত্মা গাঁধীর মূর্তিতে ফুল ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে হোটেলে ফিরে যান মমতা। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালালবলেন, “দিদি আচমকা সফরসূচি বদল করে এক দিন আগে জলপাইগুড়ি থেকে রায়গঞ্জে আসবেন, তা আমাদের জানা ছিল না। রায়গঞ্জে দলের নির্বাচন কমিটির বৈঠক থাকার কারণে ঘটনাচক্রে, জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়ক সকলেই রায়গঞ্জে ছিলেন।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূলের জন্মলগ্নের পর থেকে রায়গঞ্জ বিধানসভা কিংবা রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে দল জয় পায়নি। ২০১৭ সালের পুরসভা ভোট বাদে রায়গঞ্জ শহরে বিভিন্ন ভোটে বরাবরই তৃণমূলই পিছিয়ে রয়েছে। সে কারণে, মমতা এক দিন আগে রায়গঞ্জ শহরে এসে পদযাত্রা করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। জানুয়ারি মাসেও রায়গঞ্জ শহরে পদযাত্রা করেছিলেন মমতা।
এ দিন হেমতাবাদ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় রোড-শো ও পদযাত্রা করে প্রচার চালানোর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের। সেই কর্মসূচি বাতিল হওয়ায় বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন ওঠে। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের দাবি, “কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার শেষ না হওয়ায় শুক্রবার কার্তিকবাবু হেমতাবাদে যেতে পারেননি।’’
ভিক্টর এই দিন হেমতাবাদ বিধানসভা এলাকার হেমতাবাদ, বিষ্ণুপুর, নওদা, চৈনগর ও বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা ও রোড-শো করে ভোটের প্রচার চালান। এ দিন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত রায়গঞ্জ বিধানসভার গৌরী ও মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় কর্মিসভা ও পথসভা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy