তৃণমূলে যোগদানের শিবির। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় শুরু দলবদলের হিড়িক পশ্চিম মেদিনীপুরে। শুক্রবার মেদিনীপুর লোকসভার দুই জায়গায় দলবদল হল। দাঁতন বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন বেশ কয়েক জন। কেশিয়াড়িতে দেখা গেল ‘বিপরীতমুখী স্রোত।’ ওই বিধানসভা এলাকায় বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বেশ কয়েক জন কর্মী এবং সমর্থক। শাসকদলের দাবি, প্রায় কয়েকশো কর্মী অন্য দল ছেড়ে তাদের দলে যোগদান করেছেন। বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন প্রায় চারশো কর্মী এবং সমর্থক। মোহনপুরের বোড়াইতে বিজেপির দলীয় বৈঠকে ওই দলবদল হয়েছে বলে জানাচ্ছে পদ্ম শিবির।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দাঁতন বিধানসভার মোহনপুরের একাধিক এলাকা এবং দাঁতন-২ ব্লকের জাহালদা-সহ এগরা বিধানসভা থেকে অনেকে তাদের দলে এসেছেন। বেশিরভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবারও ‘বড় দলবদলের কর্মসূচি’ আছে বলে জানাচ্ছে পদ্ম শিবির। এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে মোহনপুরে আসার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভায় প্রায় ২ হাজার মানুষ বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে বিজেপি। যদিও শুক্রবারের দলবদলের ঘটনাকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, কোথাও দু’ এক জনকে দলে যোগদান করিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার পেতে এসব করছে বিজেপি।
তৃণমূলের দাবি, শুক্রবার কেশিয়াড়ির ধলবেলুনের প্রচার সভায় তিনশোর বেশি বিজেপি এবং সিপিএম পরিবার তাদের দলে যোগদান করেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন লালুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য শক্তিপদ শীট-সহ নছিপুর ও কুসুমপুর পঞ্চায়েতের দুই নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূলের দাবি, প্রায় তিনশো কর্মী এবং সমর্থক তাদের দলে এসেছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া, জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা এবং রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা কল্পনা শীট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy