(বাঁ দিকে) অর্জুন সিংহ। নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো অর্জুন সিংহের চিঠি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের লোকসভা ভোটের কাজে ব্যবহার করতে পারে শাসকদল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনের চিঠি দিলেন ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ। শনিবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠিটি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন বিশ্বস্ত সূত্র মারফত তিনি জেনেছেন, ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক পুরসভার কর্মীদের ব্যবহার করা হতে পারে। তাই তা যাতে না করা হয়, তার জন্য কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। অর্জুন লিখেছেন, “বিশ্বস্ত সূত্রে আমি জানতে পেরেছি যে পুরসভার কর্মী, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের লোকসভা নির্বাচন, ২০২৪-এর নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এটা ক্ষমতাসীন তৃণমূলের নির্বাচনে কারচুপির করার ষড়যন্ত্র।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমি নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং অন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করছি। কমিশন যেন তৃণমূল এবং সরকারি কর্মকর্তাদের একাংশের প্রতারণামূলক কৌশলের শিকার না হয়।”
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এমন কৌশল অবলম্বন করেছিল বাংলার শাসকদল। তাই এ বারের লোকসভা নির্বাচনে আগে থেকেই এ বিষয়ে সাবধানি হতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন অর্জুন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনেও এটি সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। তৃণমূল নিযুক্ত এজেন্সি তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে বিভিন্ন বিভাগে চুক্তির ভিত্তিতে তাদের লোক নিয়োগ করেছে। তারা তৃণমূলের নির্দেশে কাজ করেছিল। এর ফলে ওই সংস্থাটি চতুরতার সঙ্গে কাজ করে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যের বিপরীত পথে হেঁটেছিল।” প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছিলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল খারাপ হলেও, প্রশান্তের পরামর্শে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে। সেই সময় অর্জুন ছিলেন বিজেপি শিবিরে।
২০২২ সালের মে মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যান অর্জুন। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে আবারও বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। আর এ বার নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধেই পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শামিল করার অভিযোগ আনলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy