কসবার বুথে মায়ের সঙ্গে মিমি চক্রবর্তী। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটে তৃণমূল কেমন ফল করবে, তার জবাব দিলেন না মিমি চক্রবর্তী। বরং ভোট দিয়ে বেরিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করলেন যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদ।
শনিবার মাকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি। যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদ হলেও তিনি দক্ষিণ কলকাতার ভোটার। কসবার সারদা অ্যাকাডেমি স্কুলের ১৭৭ নম্বর বুথে ভোট দেন মিমি। ভোট দিয়ে বেরোনোর পথে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ভোট নিয়ে কী বলবেন? ভোট কেমন হচ্ছে? জবাবে মিমি বলেন, ‘‘এ বারের ভোটে অনেক ভাল নিয়ম করে দিয়েছে। যেমন, বয়স্কদের লাইনে এগিয়ে দেওয়া। জলের ব্যবস্থা রয়েছে। হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমি বলব, সবাই আসুন নিজের ভোট নিজে দিন। ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল।’’ এর পরেই মিমিকে ভোটে তৃণমূলের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিমি একগাল হেসে জবাব এড়িয়ে যান। এড়িয়ে যান একই বিষয়ে দ্বিতীয় প্রশ্নটিও।
যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদ মিমি এ বার আর লোকসভা ভোটের প্রার্থী নন। তাঁর কেন্দ্রে তৃণমূল এ বার প্রার্থী করেছে টলিউডেরই আরও এক অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে।
গত ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে তৃণমূল সেই ঘোষণা করে। যদিও মিমি তার কিছু দিন আগে নিজেই জানিয়েছিলেন, এ বার আর লোকসভা ভোটের প্রার্থী হতে চান না তিনি। বদলে মন দিতে চান অভিনয়ে। পরে যাদবপুরের সাংসদ হিসাবে তিনি কী কী কাজ করেছেন, তার একটি খতিয়ানও দেন মিমি। কিন্তু তার পরে আর রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি তাঁকে।
তবে মিমি না বললেও তাঁর দল তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুরে তাঁর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। সায়নীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে মমতাকে মিমির নাম না করে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আগের বার যাকে প্রার্থী করেছিলাম, সে ব্যস্ত মানুষ। তাই বেশি আসতে পারেনি। তাতে তার কোনও দোষ নেই। সে সিনেমার কাজে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু এ বার সায়নীকে দিয়েছি।’’ মিমি অবশ্য তখনও কিছু বলেননি। শনিবারও বললেন না। শুধু তৃণমূলের ফলাফলের প্রশ্ন শুনে হাসলেন অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy