প্রতীকী ছবি
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। পরীক্ষার অন্যতম বিষয় হল কলা বিভাগে ‘দর্শন’। এই বিষয়টিতে ভাল ফল করতে হলে কী করা উচিত, কী ভাবে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিতে হবে তা বিস্তারিত ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে তুলে ধরলেন বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের সহ-শিক্ষিকা (দর্শন) হেনা রায় মন্ডল।
আসন্ন ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ‘দর্শন’ বিষয়ে ভাল নম্বর পাওয়ার জন্য যেটা খুব জরুরি, তা হল পাঠ্য বই খুব ভাল করে পড়া। শিক্ষা সংসদ প্রত্যেকটি অধ্যায়ের নম্বর বিভাজন যে ভাবে করে দিয়েছে তা পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
যে তিন ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় থাকবে, অর্থাৎ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ), অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (এসএকিউ) এবং ব্যাখ্যা ভিত্তিক প্রশ্ন (ডিকিউ)—এই অধ্যায়গুলি আগে থেকেই নির্ধারিত ও নির্বাচিত করা হয়েছে শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে। তাই আমরা আগে থেকেই জেনে গিয়েছি, কোন অধ্যায় থেকে কত নম্বরের কী ধরনের প্রশ্ন থাকবে। এর ফলে সেই নির্দিষ্ট অধ্যায় পড়ার ক্ষেত্রে সেই ভাবে গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে সকল পরীক্ষার্থীকে।
উচ্চ মাধ্যমিকে দর্শন বিষয়ের ক্ষেত্রে যে হেতু আমাদের পুরো বিষয়টি ‘লজিক’ বা তর্ক বিদ্যার অন্তর্ভুক্ত, সেই জন্য পরীক্ষায় পুরো নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর প্রধান কারণ হল, এ ক্ষেত্রে প্রশ্নের উত্তর ঠিক লিখতে পারলে পুরো নম্বর পাওয়া যায়। তবে পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি ভাল করে বুঝে নিতে হবে। তাহলে নম্বর কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
১ নম্বর দাগের প্রশ্ন বা বহু বিকল্প প্রশ্ন ভিত্তিক উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট এক নম্বরের যে ২৪টি প্রশ্ন রয়েছে সহজেই সেই নম্বর পাওয়া যেতে পারে। তবে প্রশ্ন ভাল করে পড়ে নিয়ে তার পরেই পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
২ নম্বর দাগের প্রশ্ন অর্থাৎ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরের ক্ষেত্রে যে ১৬টি প্রশ্ন থাকে এক নম্বর করে সেখানে ভেবে নিয়ে বুঝে লিখতে পারলে এ ক্ষেত্রে নম্বর পাওয়ার কোন সমস্যা হয় না।
তিন নম্বর দাগের ব্যাখ্যা ভিত্তিক প্রশ্ন কিন্তু পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একেবারেই অজানা হবে, এমন বিষয় নয়। কারণ পরীক্ষার্থীরা আগে থেকেই জেনে গিয়েছেন কোন অধ্যায় থেকে পাঁচটি ৮ নম্বরের বড় প্রশ্ন পরীক্ষায় থাকবে। সুতরাং পরীক্ষার্থীরা যে অধ্যায় থেকে উত্তর লিখবে সেই অধ্যায়ের সেই অংশ খুব ভাল করে বুঝে নিতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের আরও একটি বিষয় যেটা খুব ভাল করে বোঝা দরকার, তা হল প্রশ্নের বিভাজন। প্রশ্নানুযায়ী নম্বর বিভাজন দেখে অনুচ্ছেদ করে উত্তর লিখতে হবে। প্রশ্নের আলাদা আলাদা দু’টি অংশের উত্তর কখনও এক সঙ্গে লিখলে হবে না।
গত পাঁচ-ছয় বছরের প্রশ্ন ভাল করে দেখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। বাড়িতে সেগুলির উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিষয়টি অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। পাঠ্য বইয়ের বাইরে কোনও প্রশ্ন থাকে না। তাই ভাল করে একটু পাঠ্য বই খুঁটিয়ে পড়তে হবে সকল পরীক্ষার্থীকে। কোনও প্রশ্ন ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
পাশাপাশি, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে শরীরের উপর যত্ন দিতে হবে, মানসিক ভাবেও দৃঢ় থাকতে হবে, যাতে পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে সঠিক ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy