অতিমারি পরবর্তী সময়েও ভ্যাকসিন প্রাসঙ্গিক। এই ভ্যাকসিন কী ভাবে তৈরি করা হয়, কোন কোন পর্যায়ে পরীক্ষার পর তা মানুষের উপর পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়— এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী চলছে সায়েন্স সিটিতে। ১৫ এপ্রিল এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব।
লন্ডনের সায়েন্স মিউজ়িয়াম গ্রুপের সঙ্গে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজ়িয়ামসে (এনসিএসএম)-র যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী চালু হয়েছিল ১৫ নভেম্বর, ২০২২-এ। সেই থেকে প্রতি বছর ভ্যাকসিনের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারের জন্য দিল্লি, নাগপুর, মুম্বই, বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে মোবাইল সায়েন্স এগজ়িবিশন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের সায়েন্স মিউজ়িয়াম গ্রুপের ডিরেক্টর রজ়ার হাইফিল্ড-সহ আইসিএমআর, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা। নিজস্ব চিত্র।
এনসিএসএম-এর ডিরেক্টর জেনারেল অরিজিত দত্ত চৌধুরি জানিয়েছেন, এর আগে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী করা হয়েছিল, যা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ সহায়তা করেছে। তাই এ বার প্রদর্শনীর পাশাপাশি, কলকাতা শহর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় মোবাইল সায়েন্স এগজ়িবিশন বাস চলবে, যাতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
১৫ এপ্রিল থেকে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় একটি বিশেষ বাস ঘুরে ঘুরে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করবে। এ ছাড়াও এই প্রদর্শনীতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের তরফে একটি বিশেষ আর্ট ইনস্টলেশনও রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের সায়েন্স মিউজ়িয়াম গ্রুপের ডিরেক্টর রজ়ার হাইফিল্ড-সহ আইসিএমআর, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা।

প্রদর্শনী দেখতে উপস্থিত ছিল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
সায়েন্স সিটির ডিরেক্টর অনুরাগ কুমার বলেন, “১৫ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এ ছাড়াও এই বিষয় নিয়ে চর্চার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েও বিশেষ কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হবে। জীবনরক্ষার স্বার্থে এই প্রদর্শনী বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।”