কোভিড শুধু একটি অসুখের নাম নয়। বস্তুত, কোভিডকে নিছক জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় বলে চিহ্নিত করে দিলে এর কারণে ঘটা সুবিশাল সামাজিক এবং মানসিক পরিবর্তনগুলিকে উপেক্ষা করা হয়। সেই কোভিডকালের নানা দিক, মানবজীবনের নানা টুকরো মুহূর্তকে সাজিয়েছিলেন লেখক-সাংবাদিক রঞ্জন সেন তাঁর বিভিন্ন লেখায়। আলোচ্য বইটি বিভিন্ন দৈনিক ও পোর্টালে প্রকাশিত তাঁর সেই লেখাগুলির নির্বাচিত সঙ্কলন। ঝরঝরে লেখনীতে শুধুই কোভিডকালের অপরিসীম আতঙ্ক আর দমবন্ধ সময়ের চিত্রই ধরা পড়েনি, ধরা পড়েছে অনেক ইতিবাচক দিকও। যেমন লেখক লিখছেন— “সভ্যতা মানেই যে সঙ্ঘবদ্ধতা, ব্যক্তি পরিসর বজায় রেখে সামাজিক জীবনে থাকা এটা আমরা ভুলতে বসেছিলাম। করোনার মৃত্যুমিছিল আমাদের সেই বিস্মরণ থেকে উদ্ধার করে আত্মশক্তিকে আবিষ্কার করতে শেখালো।” লিখেছেন, “কোভিড-১৯ শিখিয়েছে মানুষের কাজকারবার পৃথিবীকে কীভাবে দূষিত করে তুলেছিল। এই শিক্ষাকে আমাদের ছড়িয়ে দিতে হবে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও।” আবার একই সঙ্গে তাঁর কলমে উঠে এসেছে দীর্ঘ লকডাউনে গরিবের সঙ্গে গরিবের লড়াই, বা মেয়েদের সঙ্কট তীব্র হওয়ার মতো প্রাত্যহিক জীবনের সমস্যাগুলিও। অতিমারি-অন্তে, যখন পৃথিবী ফের স্বাভাবিকতায় ফিরেছে, তখন নানা স্বাদের লেখাগুলি সেই ঘোর দুর্দিন এবং তার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষায় ঋদ্ধ হয়ে থাকবে।