ফাইল চিত্র।
শাড়ির ইতিহাস
মালা দত্ত রায়
৬৫০.০০
আনন্দ
বেনারসি, বালুচরি, গরদ, জামদানি থেকে শিফন, ব্লক প্রিন্টের শাড়ি— সবই বাঙালি মেয়েদের অতি প্রিয়। এই বই ভারতের বিচিত্র শাড়ির ইতিহাস যেমন বলে, তেমনই ভূগোল, উপকরণ, বয়নরীতি, নকশা তোলার কৃৎকৌশলও জানায়। শিফন শাড়ি যে ফরাসি দেশ থেকে এনেছিলেন কোচবিহারের মহারানি ইন্দিরা রাজে, চিকনকারির সঙ্গে জড়িয়ে সম্রাজ্ঞী নুরজাহানের নাম, এমন নানা তথ্য কৌতূহল উস্কে দেয়। ভারতের প্রায় সব প্রদেশ, এবং প্রতিবেশী দেশগুলির শাড়ির কথা রয়েছে এই বইতে। রয়েছে পরিধানের বৈচিত্রের কথাও।
প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যে অঙ্গসজ্জা ও গৃহসংস্কৃতি
সঙ্কলন ও সম্পা: রিম্পি
৪৫০.০০
লালমাটি
নারী-পুরুষের অঙ্গসজ্জা ও গৃহসজ্জা বস্তুসংস্কৃতির অচ্ছেদ্য অংশ, আবার তা ধরে রাখে এক বিশেষ সময় ও সমাজের মেজাজ, ছাপ। দশম শতক থেকে অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যে এই অঙ্গসজ্জা ও গৃহসংস্কৃতির কোন ছবিটি ফুটে উঠেছিল, টুকরো চয়নে তা-ই ধরতে চেয়েছেন গ্রন্থকার। শবরপাদ বিদ্যাপতি গোবিন্দদাসের পদ, চণ্ডীমঙ্গল মনসামঙ্গল ধর্মমঙ্গল শ্রীকৃষ্ণবিজয় গীতগোবিন্দ ইত্যাদি কাব্যে প্রধান-অপ্রধান চরিত্রগুলির অঙ্গসজ্জা, নায়িকার ‘নষ্ট-সজ্জা’, বিয়ে-উপনয়নের সাজ, বাঙালির আহার, উৎসব-উপকরণ, ভদ্রাসন বাগানবাড়ি নগর-বাজারের রূপ তুলে ধরা হয়েছে সমন্তব্য। প্রবাসী, বঙ্গশ্রী, ভারতবর্ষ, সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা-য় এই দুই বিষয় নিয়ে লিখিত প্রাসঙ্গিক কিছু প্রবন্ধও সঙ্কলিত হয়েছে।
ময়দান ও পানশালা
রাহুল পুরকায়স্থ
২০০.০০
প্রতিক্ষণ
পানশালা এবং ময়দান, দুইয়ের সঙ্গেই রাহুল পুরকায়স্থের সম্পর্কের কথা কলকাতা জানে। বইটির পরিবর্ধিত সংস্করণে যুক্ত হল অর্ক দেবের নেওয়া রাহুলের এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার। রাহুল বলেছেন, শুধু মদ খেতে চাইলে তো বাড়িতে বসেও খাওয়া যেত— পানশালায় যাওয়া মূলত মানুষ দেখতে। কলকাতা ময়দানের আড্ডায় পুলিশকর্তা আয়ান রশিদ খান চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন এক ব্ল্যাকারকে, বিচ্ছিন্না স্ত্রীর জন্মদিনে বছরের পর বছর অচেনা লোককে নিমন্ত্রণ করছেন এক জন, প্রয়াত কবির জন্মদিনে নাচছেন পানশালার প্রাচীন বেয়ারা। ঈষৎ টলমল এক কবি বলে ওঠেন, ‘মদ্যপানও একটা যুদ্ধ, নিজের সঙ্গে, সময়ের সঙ্গে’। গভীর রাতের এক রিকশাওয়ালা প্রতি দিন নিজের নাম পাল্টে নিতেন। কলকাতার অজস্র মায়াবী গল্পের সন্ধান মেলে এই বইয়ে। লেখাগুলির সঙ্গে হিরণ মিত্রের চিত্রণ অনবদ্য, সমান্তরাল ভাষ্যের মতো।
আদি অকৃত্রিম গোদার
প্রবীর মিত্র
১৫০.০০
মুহূর্ত
তাঁর আখ্যানভঙ্গি অবিরত অস্থির, ক্রমাগত ভাঙচুরে অভ্যস্ত, আর তাতে সমান্তরালে প্রবহমান রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক-মনস্তাত্ত্বিক সর্বোপরি দার্শনিক সন্দর্ভ। জঁ-লুক গোদার ও তাঁর শিল্প-পরিক্রমা নিয়ে আলোচনা প্রবীর মিত্রের কলমে। গোদারের চলচ্চিত্র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্বের বারোটি ছবি নিয়ে একগুচ্ছ নিবন্ধ। কাহিনি নয়, চরিত্র— তার সবিশেষ আবেগ-অনুভূতির কথা বলতে চান গোদার, এলোমেলো করে দেওয়া তাঁর দুরন্তপনার সঙ্গে তুলনীয় জয়েসের গদ্য, ক্রোয়েনবার্গের সঙ্গীত, পিকাসোর চিত্রকলা, মত লেখকের।
দাস্তান-এ-খিদিরপুর
রঞ্জন মুখোপাধ্যায়
৪০০.০০
রাবণ
কলকাতার প্রথম কসমোপলিটন এলাকা সম্ভবত খিদিরপুর। সে পাড়ায় নবাবি আছে, আতর আছে, গওহরজানের ঠুংরি আছে, আবার মধ্যবিত্ত হিন্দু বসতি আছে। তিন কবির স্মৃতিতে ‘কবিতীর্থ’ আছে। ডক আছে, মাফিয়াও আছে। বারোটি প্রবন্ধে সেই খিদিরপুরের ছবি আঁকতে চেয়েছেন রঞ্জন মুখোপাধ্যায়। সেই জনপদে ‘বসন্তে দোলের দোলন ছিল সর্বজনীন... শুধু... রবীন্দ্র দোলের বাহ্যিক দোলনার দ্যোতনা খিদিরপুরে ছিল না’। যে কোনও স্থানীয় ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রেই তথ্যসংগ্রহ সমস্যার। এই বইটিতে সে সমস্যাও প্রকট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy