—প্রতীকী চিত্র।
পেট্রল, ডিজ়েল-সহ বিভিন্ন জ্বালানি জিএসটির অধীনে আসবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা অনেক দিনের। এই অবস্থায় সম্প্রতি ফের তেলকে জিএসটিতে আনার পক্ষে সওয়াল করলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তবে তিনি বলেন, সে জন্য আগে মতৈক্য তৈরি হওয়া জরুরি।
বর্তমানে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম (ব্রেন্ট ক্রুড) রয়েছে ব্যারেলে ৭২ ডলারের আশেপাশে। তবে দেশে দাম রয়েছে একই। শেষবার তা কমেছিল লোকসভা ভোটের আগে মার্চে। কলকাতায় এখন পেট্রল লিটারে ১০৪.৯৫ টাকা, ডিজ়েল ৯১.৭৬ টাকা। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি থেকে মানুষকে রেহাই দিতে তেলের দাম কমানো এবং তাকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, যদিও তাতে পণ্যগুলির করের সামগ্রিক হার কমবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি রয়েছে। তবে অনেকে বলছেন, হার যা-ই হোক না কেন, জিএসটিতে জ্বালানি এলে সংস্থাগুলি কাঁচামালে কর ফেরতের সুবিধা পাবে। বহু রাজ্য এতে নারাজ। কারণ, তেলে জিএসটি চাপলে করে তাদের শেষ নিয়ন্ত্রণও থাকবে না।
এই পরিস্থিতিতে তেলে জিএসটির প্রসঙ্গে রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর দাবি, এ নিয়ে রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঠিক করতে হবে করের হার। আর এ বার পুরীর বার্তা, ‘‘পেট্রল, ডিজ়েলকে জিএসটি আনার প্রস্তাব রয়েছে। আমি নিজেও অনেক দিন ধরে সেই সওয়াল করেছি। অর্থমন্ত্রীও বহুবার সে কথা বলেছেন। ...ইলাহাবাদের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। ...কিন্তু সকলেই জানে যে, জিএসটি পরিষদ সমস্ত সিদ্ধান্তই নেয় সব পক্ষের মতৈক্যের ভিত্তিতে এবং রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদেরও সে জন্য একমত হতে হবে।’’
সেই সঙ্গে বিরোধীদেরও ফের একহাত নিয়ে পুরী বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) কমিয়ে মানুষকে সুরাহা দিচ্ছে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি বাড়তি ভ্যাটও ছাঁটছে না। ফলে মতৈক্য তৈরি হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy