Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ফের পানীয় জল বিপণনে রাজ্য

দফতরের এক আধিকারিক বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে একটি বেসরকারি সংস্থাকে বাছা হবে। শর্তসাপেক্ষে দফতরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পরিস্রুত পানীয় জল উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হবে তাদের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কৌশিক ঘোষ 
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৭
Share: Save:

বছর চারেক আগে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর বোতলবন্দি পানীয় জল ‘প্রাণধারা’র বিপণন শুরু করেছিল। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে তখন প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। পরের বছরের গোড়া থেকে ফের ওই জল বিপণনের পরিকল্পনা করেছে তারা।

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরিমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘আমাদের দফতর বাজারে বোতলবন্দি পরিস্রুত পানীয় জল (প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটার) বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাকে উৎপাদন ও বিপণনের বরাত দেওয়া হবে। তাদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে রাজ্য।’’

দফতরের এক আধিকারিক বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে একটি বেসরকারি সংস্থাকে বাছা হবে। শর্তসাপেক্ষে দফতরের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পরিস্রুত পানীয় জল উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হবে তাদের। জলের দামও ধার্য করবে তারা। সেই জলকে বোতলবন্দি করে রাজ্যের ‘প্রাণধারা’ ব্র্যান্ডের অধীনে বাজারে বেচতে হবে। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও বেসরকারি সংস্থাকেই দেওয়া হবে।

দেশে বোতলবন্দি পানীয় জলের বাজার কত বড়, তার নির্দিষ্ট হিসেব নেই। কিছু বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, বছরে তা প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বাজারও ছোট হওয়ার কথা নয়। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা বলছেন, প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকার প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ পাইপের মাধ্যমে পরিস্রুত জল পান। যা রাজ্যের গ্রামীণ জনসংখ্যার প্রায় ৫৮.৬২%। তাঁদের একাংশ ওই জলের বাজার হতে পারে বলে ধারণা দফতরের। ফলে শহরের সঙ্গে গ্রামেও বিপণনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আধিকারিকদের দাবি, দফতরের ১১টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে। যেগুলির প্রতিটি থেকে ঘণ্টায় ৩,৬০০ বোতল পানীয় জল (৫০০ মিলিলিটার বা এক লিটার) উৎপাদন করা যায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Packaged Water West Bengal Prandhara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE