—প্রতীকী চিত্র।
ভাল বর্ষায় দেশের কৃষি উৎপাদন হারানো জমি ফিরে পাচ্ছে। রুপোলি রেখা দেখা যাচ্ছে গ্রামের কেনাকাটায়। প্রধানত এই দু’টি কারণে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক
বৃদ্ধি প্রাথমিক প্রত্যাশার থেকে বেশি হতে চলেছে বলে দাবি করল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক রিপোর্ট বলেছে, এ বছর ওই হার হতে পারে ৭%। জুনে ৬.৬% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল তারা। এর আগে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কও (এডিবি) ৭% সম্ভাব্য বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) দেশে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে পাঁচ ত্রৈমাসিকে সব থেকে নীচে, ৬.৭ শতাংশে। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অর্থনীতির উন্নতির বিভিন্ন মাপকাঠি ঠিক রয়েছে। ওই তিন মাসে দেশে লোকসভা ভোট চলায় সরকারি খরচ কমে যাওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে বৃদ্ধি। বছরের বাকি সময়ে সেই ঘাটতি পূরণ হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস সেই যুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যদিও মার্চ পর্যন্ত গোটা অর্থবর্ষে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২%।
এ দিন বিশ্ব ব্যাঙ্কের দাবি, দক্ষিণ এশিয়ার আর্থিক অগ্রগতিতে ভারতের অবদান বড়। বিশ্ব অর্থনীতিতে সমস্যা থাকলেও ভাল বর্ষা, সাধারণ মানুষের খরচের ক্ষমতা এবং রফতানি বৃদ্ধির উপরে নির্ভর করে ভারতীয় অর্থনীতির গতি বাড়বে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে পরবর্তী দু’টি অর্থবর্ষেও। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও রাজকোষ ঘাটতি কমায় ঋণ ও জিডিপির অনুপাত ৮৩.৯% থেকে ৮২ শতাংশে নামতে পারে। মূল্যবৃদ্ধিরও মাথা নামানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যা চরম দারিদ্র কমাতে সাহায্য করবে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের কান্ট্রি ডিরেক্টর অগুস্তে তানো কোয়ামের কথায়, ‘‘বিশ্ব বাণিজ্যে অংশীদারি বাড়াতে পারলে ভারত বৃদ্ধিকে আরও উপরে তুলতে পারবে। তবে তার জন্য জোর দিতে হবে বস্ত্র, পোশাক এবং জুতোর মতো ক্ষেত্রে।’’ উল্লেখ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে রফতানি ১ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চায় দেশ। তা করতে গেলে বিশ্ব বাণিজ্যে বাধা কাটানোর লক্ষ্যে জোর দিতে হবে বলে মনে করে রিপোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy