সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াগ ফিল্মসিটির জমিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্পাত কারখানা গড়ার প্রক্রিয়া কি শুরু হয়ে গেল! ভূমি দফতরের আধিকারিকদের ওই জমি পরিদর্শনের পরে এমন জল্পনাই জোরদার হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর জেলা ও সদর মহকুমা ভূমি দফতরের একটি প্রতিনিধিদল ফিল্মসিটিতে এসে জমি ও তার চারপাশ পরিদর্শন করে। ছবিও তুলে নিয়ে যায় তারা। সেই দলে ভূমি দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি গড়বেতা ৩ পঞ্চায়েত সমিতির কয়েক জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন বা ভূমি দফতরের কেউ এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে সৌরভের সংস্থাকে জমি হস্তান্তরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই এই পরিদর্শন হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফিল্মসিটির এক কর্মী মানছেন, ‘‘মেদিনীপুর থেকে তিনটি গাড়িতে ভূমি দফতরের অনেকে এসেছিলেন। সব দেখে তাঁরা ছবিও তুলে নিয়ে যান।’’ পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য বলেন, ‘‘ভূমি দফতরের আধিকারিকেরা ফিল্মসিটি পরিদর্শন করেছেন। মনে হচ্ছে সৌরভের ইস্পাত কারখানার প্রক্রিয়া চলছে।’’
প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার কথা জানিয়েছিলেন সৌরভ নিজেই। পরে অবশ্য চন্দ্রকোনা রোডের ডুকিতে প্রয়াগ ফিল্মসিটির পড়ে থাকা জমিতে ওই কারখানা নির্মাণ হবে বলে শোনা যায়। জেলার শিল্পমহলও এ ব্যাপারে একরকম নিশ্চিত। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোও বলেন, ‘‘সৌরভদের কারখানা ফিল্মসিটির জমিতে হবে বলে জানি।’’ এই আবহেই এ দিনের পরিদর্শন।
সূত্রের খবর, কয়েক মাসের মধ্যেই ফিল্মসিটির ৩৫০ একর জমিতে ইস্পাত কারখানা গড়ার কাজ শুরু হতে পারে। এতে লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উৎসাহ। তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি প্রবিষ্ট মাহাতোর কথায়, ‘‘দাদার (সৌরভ) কারখানা হলে স্থানীয়রা অনেকেই কাজ পাবেন। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব কারখানাটা হোক।’’ ফিল্মসিটির কর্মী প্রসেনজিৎ ঘোষের আশা, ‘‘ইস্পাত কারখানা হলে নিশ্চয়ই আমাদের কাজের বিষয়টিও ভাবা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy