প্রতীকী ছবি।
তেল আমদানির খরচ এবং দূষণ কমাতে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে মরিয়া কেন্দ্র। গত অর্থবর্ষে তার বিক্রি আগের দু’বছরের তুলনায় বিপুল হারে বেড়েওছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিক্রি বৃদ্ধির সরকারি পরিসংখ্যান উৎসাহজনক হলেও বাস্তবে সার্বিক গাড়ি বাজারের প্রেক্ষিতে নগণ্য। কারণ, ভারতে এখনও এই গাড়ি কেনা এবং চালানোর সহায়ক পরিবেশের অভাব রয়েছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রের তথ্য দিয়ে গাড়ি ডিলারদের সংগঠন ফাডা জানায়, ২০২০-২১ সালের চেয়ে গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ২১৮%। দু’চাকা, তিন চাকা, বাণিজ্যিক ও যাত্রিবাহীর ক্ষেত্রে বিক্রি বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৪৬৩%, ১০১%, ৪৫০% ও ২৫৭%। কিন্তু সার্বিক গাড়ি বাজারে বৈদ্যুতিকের ভাগ মাত্র ২.৬২%। দু’চাকার ক্ষেত্রে ১.৯৩%। বাণিজ্যিক এবং যাত্রী গাড়িতে এক শতাংশেরও কম। শুধু তিন চাকার গাড়িতে ৪৫%। যদিও সূত্রের খবর, ই-রিকশার রমরমাই এর কারণ।
ফাডা-র প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটির দাবি, বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ির চাহিদা থাকলেও জোগান কম। কিছু সংস্থার গাড়ির খারাপ মান নেতিবাচক প্রভাবও ফেলছে। তবে তাঁদের আশা, হিরো, হোন্ডা মোটরসাইকেল, টিভিএস, বজাজের মতো পরিচিত সংস্থার বৈদ্যুতিক দু’চাকা এলে ছবিটা উজ্জ্বল হবে।
পেট্রল-ডিজ়েলের বিকল্প হিসেবে বৈদ্যুতিক, ইথানল, পেট্রল-ইথানলের ফ্লেক্স ইঞ্জিনের মতো প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে প্রায় সমস্ত গাড়ি সংস্থা। অনেকে মডেলও আনছে বাজারে। কিন্তু সূত্রের বক্তব্য, বৈদ্যুতিক গাড়িতে আগ্রহী বহু ক্রেতা মুখ ফিরিয়ে আছেন চড়া দামের জন্য। ব্যাটারির খরচই যার জন্য দায়ী। হালে ব্যাটারি তৈরির যন্ত্রাংশের দাম লাফিয়ে বাড়ায় খরচ আরও বে়ড়েছে। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির কাছে এই খাতে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি উঠছে।
অভিযোগ, চার্জ দেওয়ার স্টেশনও কম। সম্প্রতি কেন্দ্রই জানিয়েছে, দেশে ১০ লক্ষেরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলে। কিন্তু সকলের ব্যবহারের মতো চার্জিং স্টেশন প্রায় ১৭০০। শিল্পের বক্তব্য, তাই একবার চার্জে অনেকটা যাওয়া যায়, এমন গাড়ির চাহিদা বেশি। কিন্তু জোগান কম। সংস্থাগুলি যদিও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy