গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থান সরকারের বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা জয়পুর বিদ্যুৎ বিতরণ নিগমের (জেভিভিএনএল) থেকে ‘লেট পেমেন্ট সারচার্জ’ হিসেবে ১৩৭৬.৫৩ কোটি টাকা দাবি করেছিল আদানি পাওয়ার রাজস্থান। কিন্তু সোমবার সেই দাবি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি পি ভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চে এই আবেদনের ফয়সলা হয়ে গিয়েছে। অন্য বেঞ্চের কাছে বিধি মেনে আবেদন জানানো হয়নি। শুধু তা-ই নয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনি সহায়তা কমিটির কাছে ৫০,০০০ কোটি টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে আদানির সংস্থাটিকে। ২৪ জানুয়ারি মামলাটির শুনানি শেষ হওয়ার পরে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত।
গত জানুয়ারিতে এই মামলাটি এক বার জনসমক্ষে এসেছিল। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও মামলাটি নথিভুক্ত না করায় রেজিস্ট্রিকে তুলোধনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি বিচারপতিদের নজরে আনেন জেভিভিএনএলের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে।
এর আগে এই সংক্রান্ত সালিশিতে রাজস্থান বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বিদ্যুৎ আপিল ট্রাইবুনাল জানিয়ে দেয়, আদানি পাওয়ার রাজস্থান দেরিতে বকেয়া পাওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ মাসুল পেতে পারে। কিন্তু ‘লেট পেমেন্ট সারচার্জ’ নয়। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টও একই নির্দেশ দেয়। এ বার আদানিদের পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত।
এ দিকে, আদানিদের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে আমেরিকায়। সেই খবরের জেরে এ দিন গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর পড়েছে। লেনদেনের মধ্যবর্তী সময়ে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের শেয়ার দর ৪% পড়ে গিয়েছিল। দিনের শেষে হারানো জমি কিছুটা ফিরে পেলেও আগের দিনের দামে পৌঁছতে পারেনি। পড়েছে আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পোর্টস, আদানি এনার্জি সলিউশন্স, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি উইলমার, এসিসি, অম্বুজা সিমেন্টস এবং এনডিটিভির শেয়ারও। যদিও এ দিন শেয়ার বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সেনসেক্স ১০৪.৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ৭২,৭৪৮.৯৯ অঙ্কে দিন শেষ করেছে। নিফ্টি ৩২.৩৫ পয়েন্ট উঠে হয়েছে ২২,০৫৫.৭০। উল্লেখ্য, ভারতে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারি অফিসারদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদানি গোষ্ঠী এবং কর্ণধার গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকার বিচার বিভাগ। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, আমেরিকায় সরাসরি আদানিদের ব্যবসা নেই। কিন্তু সে দেশের লগ্নিকারীদের পুঁজি আদানিদের বিভিন্ন সংস্থায় ছড়িয়ে রয়েছে। সে কারণেই নিয়ম মেনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। আদানি গোষ্ঠীর অবশ্য বক্তব্য, এমন তদন্তের কথা তাদের জানা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy