প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে যে সব শিল্প সব চেয়ে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করে, পাট শিল্প তার অন্যতম। এ দিকে, চলতি বছরে পাটের উৎপাদন কমার সঙ্গেই তার কালোবাজারি বাড়ায় কাঁচা পাটের অভাবে চরম সমস্যায় পড়েছে এই ক্ষেত্র। যার জেরে এখনও প্রায় ১৫টি চটকল বন্ধ রয়েছে। করোনার আবহে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৫০,০০০ শ্রমিক। এই পরিস্থিতিতে ফের যাতে পাট শিল্পে এ ধরনের সমস্যা তৈরি না-হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় রাজ্য। এ জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে আগামী সপ্তাহে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত সব মহলকে নিয়ে বৈঠক করবেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
বুধবার মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ডাকা হবে পাট চাষ, বিপণন, চটকলগুলিতে কাঁচা পাটের সরবরাহ, কাঁচা পাট আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। থাকবেন জুট কমিশনার এবং কিছু সমবায় সমিতির সদস্যেরাও। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন সময়ে পাট চাষ থেকে শুরু করে চটকলে কাঁচা পাটের জোগান-সহ সব ক্ষেত্র যে সমস্যার মুখে পড়েছে, তা খতিয়ে দেখেই পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।’’ যার ভিত্তিতে কার্যত পাট নীতি তৈরি করাই রাজ্যের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
গত বছর আমপানে রাজ্যে পাট উৎপাদন প্রায় ৪০% কমেছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, ভাল বর্ষার হাত ধরে এ বার তা ভাল হবে। নতুন মরসুম শুরু হচ্ছে জুলাইয়ে। চলবে পরের বছর জুন পর্যন্ত। শ্রমসচিব বরুণকুমার রায় বলেন, ‘‘ফলন ভাল হওয়ায় চাষিরা যাতে পাটের উপযুক্ত দাম থেকে বঞ্চিত না-হন, সে জন্য পাটের সহায়ক মূল্য কুইন্টালে ২৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৪৫০০ টাকা করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy