এক ডলার ৭ পয়সা বেড়ে ৮৪.৪৬ টাকা হল। —প্রতীকী চিত্র।
ডলারের সাপেক্ষে আরও নীচে নেমে টাকার দাম সর্বনিম্ন হওয়ার নতুন নজির গড়ল বৃহস্পতিবার। এক ডলার ৭ পয়সা বেড়ে ৮৪.৪৬ টাকা হল। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ভারতীয় মুদ্রার এত দ্রুত এতখানি অবমূল্যায়ন অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। তার দাম কত তলানিতে ঠেকবে, সেই প্রশ্নে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। এ দিন আরও নেমেছে শেয়ার বাজারও।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর বক্তব্য, দুর্বল টাকা পণ্যের দামকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ভারতীয় মুদ্রাকে ধাক্কা দিতে পারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আর্থিক নীতি। তাঁর মতে, ট্রাম্প যদি বিদেশি পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ান তা হলে সে দেশেও জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। তখন তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পক্ষে সুদ কমানো কঠিন হবে। অজিতাভর দাবি, ‘‘ফেড সুদ চড়া রাখলে ভারতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে সুদ কমানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর সুদ না কমলে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি আসার পথেও বাধা তৈরি হবে। কমবে ডলার আমদানি। তাতে ডলার আরও বেড়ে টাকাকে নীচে ঠেলবে। এখন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতের বাজারে লাগাতার শেয়ার বিক্রিও টাকার পতনের অন্যতম কারণ।’’
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘‘ট্রাম্প আমেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলবেন বলে আশা অনেকের। তাই সে দেশের মুদ্রা আরও শক্তিশালী হবে মনে করছেন লগ্নিকারীরা। এর জেরে ডলারে লগ্নি বাড়ছে। চড়া লাভের আশায় হাতের ডলার ধরে রাখছেন একাংশ। এই সবই তার দাম বাড়িয়ে টাকার পতন ঘটাচ্ছে।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, টাকাকে রক্ষা করতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে হস্তক্ষেপ করতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy