প্রতীকী ছবি।
প্রায় ন’বছর আগে ২০১৩ সালেও ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রার বড় পতন হয়েছিল। তার মোকাবিলা করতে তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সব পদক্ষেপ করেছিল, তা এখন তেমন কাজ দেবে না বলে ধারণা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, তখন ও এখনকার আর্থিক অবস্থার মৌলিক উপাদানগুলির মধ্যেঅনেকটা ফারাক রয়েছে। শুধু ডলারের দাম বৃদ্ধিই নয়, দেশের আর্থিক হাল যথেষ্ট ভাল বলে কেন্দ্রের দাবির বিপরীতে গিয়ে তাঁদের একাংশের ধারণা, দেশের আর্থিক ভিতও কিছুটা নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে।
২০১৩ সালে ডলারের সাপেক্ষে টাকা দাম পড়েছিল ১১%। এ বার ইতিমধ্যেই ওই পতন দেখে ফেলেছে টাকা। প্রতি ডলার ৮২ টাকা ছড়িয়েছে। এমনকি ডলার ৮৪ টাকাও ছুঁতে পারে বলে ধারণা অনেকের। ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং আমদানি খাতে খরচ বাড়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা, চলতি অর্থবর্ষে তা জিডিপি-র ৩ শতাংশে উপরেই থাকতে পারে। এখন আট মাসের আমদানি খরচ মেটানোর মতো ডলার শীর্ষ ব্যাঙ্কের হাতে আছে। কিন্তু আমদানি খরচ বেড়ে ডলারের মজুত কমতে থাকলে তার সংস্থান নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে।
জুলাইয়ে বিদেশি মুদ্রা টেনে আনতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরবিআই। এর অন্যতম সরকারি ঋণপত্রে বিদেশি লগ্নিকারীদের বিনিয়োগে সায়, ভারতীয় ব্যাঙ্কে বিদেশি মুদ্রার আমানত বাড়াতে ব্যাঙ্কগুলিকে সুদ ঠিক করার স্বাধীনতা দান ইত্যাদি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ওই সব পদক্ষেপ ২০১৩ সালে যেমন কাজ করেছিল, এ বার তেমন করেনি। ফলে টাকার মূল্য ধরে রাখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডলার বিক্রির ছাড়াও আরও কিছু পদক্ষেপ করা জরুরি। অনেকের পরামর্শ, অতীতের মতো রিসারজেন্ট ইন্ডিয়া বন্ড বা মিলেনিয়াম ডিপোজ়িট বন্ড ছাড়লে ভাল ফল মিলতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy