শীঘ্রই পুরনো ভাড়ায় সব ট্রেনে সফর। ফাইল চিত্র
করোনাকালে চালু হওয়া স্পেশাল ট্রেন আর চলবে না। ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে তা কমতে শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি সব স্পেশাল ট্রেনই বন্ধ করে দেবে রেল। তার পরিবর্তে পুরনো নিয়মে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে। এখনও পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেনের জন্য যে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে, এর ফলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। রেলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বীন বৈষ্ণো। কবে থেকে সব ট্রেন পুরনো নিয়মে চলবে তা স্পষ্ট করে না জানালেও অশ্বীন জানিয়েছেন, শীঘ্রই দফায় দফায় বাকি থাকা স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই দূরপাল্লার ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্পেশাল তকমা দিয়ে ট্রেন চালানো শুরু করে রেল। এখন করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই নিয়ন্ত্রণে চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে রেলও পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে এখনও অনেক ট্রেনই স্পেশাল হিসেবেই চলছে। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সব স্পেশাল ট্রেনে সফরের জন্য যাত্রীদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। মন্ত্রক ঠিক করেছে খুব তাড়াতাড়ি এই ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে।’’
করোনা পরিস্থিতির আগে মোটামুটি ১,৭০০ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চালাত রেল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বড় আকার নেওয়ার পরেই অধিকাংশ ট্রেন চালানো বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলির প্রায় সবই এখন চালু হয়ে গিয়েছে। করোনার আগে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলত মোটামুটি ৩,৫০০টি। সেটা এখনও এক হাজারের আশপাশে। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনার সময়ে রেল অনেক ট্রেনকে কোভিডের বিধি মেনে স্পেশাল নাম দিয়ে চালিয়েছিল। ট্রেনে যাতে ভিড় বেশি না হয় সেটাই ছিল লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই ৭৫ শতাংশ ট্রেনের স্পেশাল তকমা তুলে নেওয়া হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রেও পুরনো ভাড়া চালুর সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy