কেন্দ্রীয় বাজেটে নতুন কাঠামোয় চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বছরে ১২ টাকা পর্যন্ত আয়ে করছাড়ের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আয়কর বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের বার্ষিক ১৪.৬৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনে দিতে হবে না এক টাকাও কর। অর্থাৎ নিয়মের ফাঁক গলে আরও কিছু অতিরিক্ত ছাড় পাবেন তাঁরা। কিন্তু কী ভাবে?
বেসরকারি সংস্থার চাকরিজীবীদের বার্ষিক বেতনকে বলা হয়, কস্ট টু কোম্পানি বা সিটিসি। সাধারণত, এই সিটিসির ৫০ শতাংশ হয় মূল বেতন (বেসিক পে)। সেই হিসাবে ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা সিটিসি হলে মূল বেতন দাঁড়াবে ৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। ওই কর্মী ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে (এনপিএস) এবং এমপ্লোয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফে জমা করবেন তাঁর মূল বেতনের যথাক্রমে ১৪ এবং ১২ শতাংশ। অর্থাৎ এনপিএসে ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৫০ টাকা এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড তহবিলে ৮৭ হাজার ৯০০ টাকা দেবেন তিনি।
নতুন কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৭৫ হাজার টাকা রেখেছে কেন্দ্র। এ বারের বাজেটে এই অঙ্কের কোনও বদল করেননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা। অর্থাৎ এনপিএস, ইপিএফ এবং স্ট্যাডার্ড ডিডাকশন বাদ দিয়ে ওই ব্যক্তির করযোগ্য আয় দাঁড়াবে ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৫০ টাকা। এখন চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে আয়করে ছাড় যে হেতু ১২ লক্ষ টাকা, তাই সংশ্লিষ্ট কর্মীকে কোনও কর দিতে হবে না।
আয়কর বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে বলেছেন। সেটি হল, উক্ত কর্মীকে অবশ্যই এনপিএস এবং ইপিএফের আওতাভুক্ত হতে হবে। সেটা না হলে এই আয়করে ছাড় পাবেন না তিনি। বেসরকারি সংস্থার চাকরিজীবীরাই এই সুবিধা পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে লগ্নি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়। আয়কর আইনের ৮০সিসিডি(২) ধারা অনুযায়ী এক জন ব্যক্তি তাঁর মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ এতে বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্য দিকে প্রভিডেন্ট ফান্ড তহবিলে লগ্নি বাধ্যতামূলক। এতে মূল বেতনের ১২ শতাংশ কেটে জমা করতে হয়। সম পরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট তহবিলে জমা করে থাকে নিয়োগকারী সংস্থা।