—প্রতীকী ছবি।
ইরান-ইজ়রায়েল সঙ্কটের জেরে রক্তাক্ত ভারতের শেয়ারের বাজার। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ নেমেছে সেনসেক্স-নিফটির সূচক। ২০২২ সালের জুন মাসের পর বাজারে এতো বড় পতন আর কখনই দেখা যায়নি।
স্টকের লেখচিত্র যখন ক্রমশ নিম্নমুখী, তখন আম জনতার মধ্যে ঘুরে ফিরে আসছে একটা প্রশ্ন। এই সময় মিউচুয়াল ফান্ড বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে (এসআইপি) লগ্নি করা কি আদৌ উচিত? সে ক্ষেত্রে লোকসানের নেই তো কোনও সম্ভাবনা?
শেয়ার সূচকের মহাপতনের ফলে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহের নিরিখে সস্তা হয়েছে বাজার। ফলে বিনিয়োগকারীদের অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ড বা এসআইপিতে লগ্নির কথা ভাবতেই পারেন। তবে বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাজার বিশ্লেষকদের দাবি, গত তিন-চার দিনে রিয়েল এস্টেট ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির স্টকের লেখচিত্র ছিল নিম্নমুখী। এছাড়া ইরান বা ইজ়রায়েলে লগ্নি রয়েছে এমন সংস্থার শেয়ারের দর পড়েছে। লোকসানের মুখ দেখেছে তেল কোম্পানিগুলিও। যার পিছনে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
মিউচুয়াল ফান্ড বা এসআইপিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিকে মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈঠক করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি। সেখানে রেপো রেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ওই বৈঠকের পর মিউচুয়াল ফান্ড বা এসআইপিতে লগ্নি করা ভাল। বিনিয়োগের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতি বুঝে নিতে বলেছেন তাঁরা। শুক্রবার, ৪ অক্টোবর বাজার বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায় সেনসেক্স ও নিফটি দাঁড়িয়ে রয়েছে যথাক্রমে ৮১,৬৮৮.৪৫ ও ২৫,০১৪.৬০ পয়েন্টে।
গত সাত দিনে ৪ হাজার ১০০ পয়েন্ট নেমেছে শেয়ার সূচক। ফলে স্টকে লগ্নিকারীদের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একাংশ এখানে থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। যদিও এই পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy