— ফাইল চিত্র
, ৯ নভেম্বর: চিনের হুবেই প্রদেশে লকডাউনের পরে ভারতে ওষুধের জোগানে টান পড়েছিল। কারণ এ দেশ ওষুধের কাঁচামালের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল। পরিস্থিতি সামলাতে অ্যান্টিবায়োটিক থেকে ভিটামিনের মতো ওষুধের ১৩ রকম কাঁচামাল রফতানি বন্ধ করতে হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন ভাবছেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনেই কোভিড-১৯ সেরে যায়। যার সিংহভাগ রফতানি হয় ভারত থেকে। ট্রাম্প শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠাতে অনুরোধ করেছিলেন।
এর পরেই ট্রাম্প প্রশাসনের টনক নড়ে। গত অগস্টে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ‘বাই আমেরিকান ফার্স্ট’ নামে নির্দেশিকা জারি করেন। যার মোদ্দা কথা, সরকারি সংস্থাগুলিকে ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে ‘মেড ইন আমেরিকা’ তকমাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
ভারতীয় ওষুধ শিল্পে এতে আতঙ্ক ছড়ালেও, মোদী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক মনে করছে ক্ষতি নয়, বরং লাভই হবে। তার উপরে ওয়াশিংটনে ক্ষমতা হাতবদলের পরে জো বাইডেনের জমানায় ওবামাকেয়ার-এর গুরুত্ব বাড়বে। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসার যে ব্যবস্থা এনেছিলেন। এটা হলেও ভারতের ওষুধ সংস্থারই লাভ।
ভারত থেকে আমেরিকায় বছরে প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের ওষুধপত্র যায়। বাণিজ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘ট্রাম্পের নির্দেশে প্রথমে ওষুধ সংস্থাগুলি ভয় পেয়েছিল। কিন্তু ওষুধ রফতানিকারীদের সংগঠন ফার্মএক্সিল বলেছে, আমেরিকার সরকারি সংস্থা ভারতে তৈরি ওষুধ কমই কেনে। ট্রাম্পের নির্দেশেও বলা ছিল, যদি আমেরিকায় তৈরি ওষুধ কিনতে গিয়ে ২৫% বেশি খরচ হয়, তা হলে দেশীয় ওষুধ কেনার বিধিনিষেধ থাকবে না। ভারতে ওষুধ তৈরির খরচ কম বলে আমেরিকার তুলনায় দাম অনেক ক্ষেত্রে ৪০% পর্যন্ত কম।’’
ওবামাকেয়ার ট্রাম্পের আমলে ছিল দুয়োরানি। ওবামার ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে ফের তার গুরুত্ব বাড়বে। চিকিৎসার খরচ কম রাখতে বাইডেন জেনেরিক ওষুধেও জোর দিয়েছেন। ওষুধ শিল্পের ধারণা, এর ফলে আমেরিকায় ভারতে তৈরি জেনেরিক ওষুধের বিক্রি বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy