Advertisement
E-Paper
BB 2025 - LEAD 0 Banner - 7-8pm

আবগারি রোজগার বাড়াতে বাংলার কৌশলে চোখ বহু রাজ্যের

দেশে জিএসটি চালুর পরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা সীমিত হয়ে গিয়েছে সব রাজ্যের। নিজস্ব আয়ের অন্যতম মূল উৎস এখন কার্যত আবগারি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৫১
Share
Save

আবগারি রাজস্বের মাধ্যমে আয় বাড়াতে পশ্চিমবঙ্গের দ্বারস্থ হয়েছে অনেকগুলি রাজ্য। তার মধ্যে কয়েকটি বিজেপিশাসিতও আছে!

দেশে জিএসটি চালুর পরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা সীমিত হয়ে গিয়েছে সব রাজ্যের। নিজস্ব আয়ের অন্যতম মূল উৎস এখন কার্যত আবগারি। ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে এই ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব সংগ্রহে বাংলার অগ্রগতি দেখে আশান্বিত বহু রাজ্য। রাজকোষ শক্তিশালী করতে সাফল্যের সেই পথের হদিশ চায় তারা।

সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে আবগারি খাতে এ রাজ্যের ভাঁড়ারে এসেছিল ৩৫৮৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ সালে ১৩,৫৪৩ কোটি। অর্থাৎ, বছরে রাজস্ব বৃদ্ধি গড়ে প্রায় ২১% করে। অন্য রাজ্যগুলিতে যা ১০ শতাংশও পেরোয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গে মদ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে মাত্র ৪%-৫%। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই কৌশলই রপ্ত করতে আগ্রহী মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, সিকিম, পঞ্জাবের মতো রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের আবগারি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে তাদের প্রতিনিধিরা। এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রায় ১২টি রাজ্য আমাদের পদ্ধতি কার্যকর করার পথে এগোচ্ছে। এখন দিল্লি সরকারের একটি দল এখানে রয়েছে।’’

আবগারি দফতর জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালের (দীর্ঘ সময় ছিল লকডাউন) এপ্রিল-অগস্টে তাদের রাজস্ব আদায় হয় ৩৫০০ কোটি টাকা। গত এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ৭৪৩৪ কোটি। প্রায় ৩০% বেশি। লকডাউনে কিছু দিন রাজ্য মদের দামে কোভিড কর যুক্ত করলেও সে বার পুরো অর্থবর্ষের মোট আদায় ১২,৩৭১ কোটি ছুঁয়েছে। কর্তাদের বক্তব্য, জিএসটি জমানায় রাজ্যের নিজস্ব আয় বৃদ্ধির প্রয়োজন বেড়েছে। না হলে সমাজকল্যাণ বা জনস্বাস্থ্য প্রকল্পগুলি চালানো মুশকিল হবে। তাই এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভর কিছু নীতি নিয়েছে সরকার। যেমন—

এক, ই-আবগারি পোর্টাল মারফত মদ সংক্রান্ত সরকারি অনুমোদনের সময় সর্বাধিক ৪৮ ঘণ্টায় নামানো। দুই, অনলাইনে টাকা লেনদেন। ফলে ভুয়ো চালানের প্রবণতা কমেছে। তিন, ৫৩০০ খুচরো বিক্রেতার ই-আবগারি মারফত চাহিদা অনুযায়ী মদ সংগ্রহের সুবিধা। চার, উৎপাদক সরবরাহকারীকে যে দামে মদ বিক্রি করছে, তার প্রতিটি স্তরে আলাদা আলাদা ভাবে কর ধার্য হওয়া। আগের কর কাঠামোয় মদের এমআরপি বেশি হলে কর আদায় হত কম। সূত্র বলছে, ‘‘দামের সামঞ্জস্য ভিন্‌ রাজ্য থেকে বেআইনি পথে মদ আসা বন্ধ করেছে। সেই কারণেও রাজস্ব মার খাচ্ছে না।’’ সরকারি কর্তাদের দাবি, কম দামে সুগন্ধী দেশি মদের জোগান বৃদ্ধি আদায় আরও বাড়িয়েছে। কারণ, এতে চোলাই বা অবৈধ বিক্রিতে অনেকটা রাশ টানা গিয়েছে।

West Bengal Excise Department

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।