Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Jute corporation of India

Jute: চাষিদের থেকে পাট কিনবে জুট কর্পোরেশন

বাজারে যেখানে কাঁচা পাটের আকাল, সেখানে জেসিআই-এর এই সিদ্ধান্তে চটকলগুলির পণ্যটি অন্তত হাতে পেতে সুবিধা হবে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

ফাইল চিত্র।

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২২ ০৫:৫৬
Share: Save:

ভাল ফলন হওয়া সত্ত্বেও বেআইনি মজুতদারির জন্য চলতি পাট মরসুমে বাজারে দেখা দিয়েছে কাঁচা পাটের আকাল। যার ফলে রাজ্য এবং দেশের অন্য অঞ্চলে চটকল বন্ধ-সহ এই শিল্প চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে পাটের নতুন মরসুম। সে সময়ে গিয়ে যাতে একই ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে এ বার মাঠে নামল জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (জেসিআই)। ঠিক হয়েছে, এ জন্য নতুন মরসুমের শুরু থেকেই চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনে সরাসরি তা চটকলগুলিতে সরবরাহ করবে তারা। এই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে ওই পণ্য কিনবে জেসিআই।

কৃষক মহল সূত্রের খবর, আর কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পরের বছরও পাটের ফলন ভাল হওয়ার কথা। কৃষকসভার রাজ্য সভাপতি বিপ্লব মজুমদার জানান, “এ বার আরও বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তাই গত বারের থেকে তা কমপক্ষে ২০%-২৫% বেশি উৎপন্ন হবে বলে ধারণা।’’ কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁরা বলছেন, বাজারে কাঁচা পাট অবাধে পাওয়ার বিষয়টি যে ভাল ফলনের উপর নির্ভর করে না, তা এই বছরই দেখা গিয়েছে। কিছু অসাধু মজুতদারের কারণে কৃত্রিম ভাবে বাজারে অভাব তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শিল্প নিয়ে ওয়াকিবহাল এক জন জানান, নতুন ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মজুতদারেরা চাষিদের থেকে তা কিনে নেন। পরে তা বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা করেন।

আগামী মরসুমেও যাতে এই ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা জেসিআই। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ মজুমদার বলেন, “নতুন মরসুমের শুরু থেকেই পাট কিনতে মাঠে নামব। চাষিদের থেকে শুধু ওই ফসল কেনাই নয়, তার গাঁট বাঁধা বা বেল তৈরি করার ব্যবস্থাও করব।’’ চাষিরা যাতে ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, তা-ও নিশ্চিত করবে জেসিআই। কল্যাণবাবু বলেন, “ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বা বাজার দরের মধ্যে যেটা বেশি, সেই দামেই পাট কেনা হবে।’’

দেশে পাটের মোট ১১০টি ক্রয় কেন্দ্র (পারচেসিং সেন্টার) রয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যেই রয়েছে ৬১টি। প্রতিটি ক্রয় কেন্দ্রের সঙ্গে রয়েছে একটি বা দু’টি করে গুদাম। জেসিআই-এর সিদ্ধান্ত, চাষিদের থেকে নতুন পাট কিনে প্রথমে ওই সব গুদামে রাখা হবে। পরে গাঁট বেঁধে এবং মোড়ক করে তা সরাসরি সরবরাহ করা হবে চটকলগুলিতে। পাট কেনা, গাঁট বাঁধা, প্যাকেজিং এবং চটকলে সরবরাহের জন্য পরিবহণ খরচ জুড়ে যে অঙ্ক দাঁড়াবে, সেই দামেই তা বেচা হবে।

বাজারে যেখানে কাঁচা পাটের আকাল, সেখানে জেসিআই-এর এই সিদ্ধান্তে চটকলগুলির পণ্যটি অন্তত হাতে পেতে সুবিধা হবে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। তবে একাংশের প্রশ্ন, এত কাজের জন্য জেসিআইয়ের যথেষ্ট লোকবল আছে তো? কল্যাণবাবু অবশ্য জানান, “বর্তমানে বহু কাজের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। তাই সময় কম লাগে। আমাদের নিজস্ব কর্মী ও অফিসারদের দিয়েই ওই কাজ করা সম্ভব। পাটের গাঁট বাঁধা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য ঠিকার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jute corporation of India Farmers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy