ডিজিটাল মুদ্রার রমরমা নিয়ে অনেক দিন ধরেই উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। এর লেনদেনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে একাধিক বার সতর্ক করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এ বার বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রা নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সুপারিশ করল সরকার নিযুক্ত আন্তঃমন্ত্রক কমিটি। শুধু তা-ই নয়, ওই মুদ্রার লেনদেনকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা এবং কড়া শাস্তির কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। সেই সঙ্গে সরকারের কাছে সংশ্লিষ্ট খসড়া বিলও জমা দিয়েছে তারা। তবে ওই কমিটি জানিয়েছে, বৈধ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে সরকার পরিচালিত একটি ডিজিটাল মুদ্রা থাকা প্রয়োজন। যার উপরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরদারি থাকবে।
২০১৭ সালের ২ নভেম্বর আর্থিক বিষয়ক সচিবের নেতৃত্বে ডিজিটাল মুদ্রা সংক্রান্ত ওই কমিটি তৈরি হয়। কমিটির সদস্য ছিলেন বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব, বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির চেয়ারম্যান ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর। সম্প্রতি সেই কমিটি সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, যা আপলোড করা হয়েছে আর্থিক বিষয়ক দফতরের ওয়েবসাইটে। ওই রিপোর্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দফতর এবং নিয়ন্ত্রকেরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবে। তার পরেই তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রাগুলির না আছে মুদ্রার বৈশিষ্ট, না আছে নির্দিষ্ট দাম। বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবেও এগুলি ব্যবহার করা যায় না। সরকারি নিয়ন্ত্রণের তো প্রশ্নই নেই। সে কারণেই এগুলিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। তবে সুপারিশে আরও বলা হয়েছে যে, ডিজিটাল মুদ্রার প্রযুক্তিগত দিকগুলি মাঝে মধ্যেই বদল হচ্ছে। সে কারণে বিষয়টিকে আরও খতিয়ে দেখার জন্য সরকারি একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি করতে পারে।
মোকাবিলায়
• আন্তঃমন্ত্রক কমিটি তৈরি হয় ২০১৭ সালে।
• সম্প্রতি তার সুপারিশ এবং খসড়া বিল জমা পড়েছে কেন্দ্রের কাছে।
• বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ করা হোক সব বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি।
• লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
• সুপারিশ সরকার নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল মুদ্রা চালুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy