E-Paper

হাতে টাকা নেই, জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম মধ্যবিত্ত! আয়কর কমানোর আর্জি অর্থমন্ত্রীর কাছে

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে আগামী অর্থবর্ষের (২০২৫-২৬) বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বাজেটের প্রস্ততি-বৈঠকে বসছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:১৮
Share
Save

চড়া দামের কারণে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে হাতে টাকা থাকছে না বাড়তি খরচের জন্য। কমছে বাজারে কেনাকাটা। সোমবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকে তাই অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়ানোর সওয়াল করল শিল্পমহল। দাবি করল, মধ্যবিত্তের হাতে বেশি অর্থ তুলে দিতে বাজেটে যেন আয়করের হার কমানো হয়। চাহিদা বাড়ানোর অন্যান্য দাওয়াই হিসেবে তেলের শুল্ক কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা এবং ছোট শিল্প ও শ্রম নির্ভর ক্ষেত্রগুলিকে সুরাহা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে আগামী অর্থবর্ষের (২০২৫-২৬) বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বাজেটের প্রস্ততি-বৈঠকে বসছেন তিনি। সোমবার বসেন শিল্পকর্তাদের সঙ্গে। ছিলেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারাও। পিএইচডি চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হেমন্ত জৈন জানান, মানুষ যাতে প্রয়োজন মিটিয়েও একটু বেশি টাকার মুখ দেখতে পান ও মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলা করতে পারেন সে জন্য ব্যক্তিগত আয়কর কমানোর সুপারিশ করেছেন তাঁরা। বণিকসভা সিআইআই-এর প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী বলেন, ভারতের আর্থিক অবস্থা তুলনায় ভাল হলেও, বিশ্ব অর্থনীতির সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম মূল্যবৃদ্ধি। সুরাহা হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর ছাঁটাই চাওয়া হয়েছে। একই কারণে পেট্রল-ডিজ়েলে কেন্দ্রের আদায় করা শুল্ক কমিয়ে দাম নামানোর ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে।

বস্ত্র, জুতো, পর্যটনের মতো শ্রম নির্ভর ক্ষেত্র ও ছোট শিল্পকে সুরাহা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বিভিন্ন বণিকসভা। জিএসটি ব্যবস্থা আরও সরল করতে বলা হয়েছে। দেশীয় সংস্থাগুলির পণ্য উৎপাদনের খরচের থেকেও কম দামে চিনা রফতানি বাজারকে টালমাটাল করছে জানিয়ে এর সুরাহা চাওয়া হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিষয়কেও চিহ্নিত করেছে শিল্প। জোগান শৃঙ্খলে ছোট শিল্পের ভূমিকা তুলে ধরে তাদের মূলধনের চাহিদা মেটানো, নথিভুক্তির জটিল প্রক্রিয়াকে সরল করা, উৎস করের জটিলতা কাটানোর দাবি জানিয়েছেন অ্যাসোচ্যামের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় নায়ার। বণিকসভা ফিকির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় শঙ্কর বলেন, ‘‘বিভিন্ন বণিকসভা ও শিল্পের ১৩ জন প্রতিনিধি আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী এবং মন্ত্রকের কর্তারা শিল্পের দাবি মন দিয়ে শুনেছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nirmala Sitharaman

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।