Advertisement
E-Paper

ঋণ শোধে ব্যর্থ অনিল অম্বানী, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রশাসক নিয়োগ আদালতের

শুধু স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নয়, চিনের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করার অভিযোগ রয়েছে অনিলের বিরুদ্ধে।

অনিল অম্বানীর সংস্থা দেউলিয়া কি না জানতে খোঁজ শুরু— ফাইল চিত্র

অনিল অম্বানীর সংস্থা দেউলিয়া কি না জানতে খোঁজ শুরু— ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ১৭:১১
Share
Save

শিল্পপতি অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়ে শোধ না করার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সক্রিয় হল ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল। অনিলের মালিকানাধীন দু’টি সংস্থা দেউলিয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার ‘ব্যাঙ্করাপসি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ নিয়োগ করেছে আদালত। প্রায় ১২০০ কোটির বকেয়া ঋণ উদ্ধারের জন্য অনিলের সংস্থা রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড (আর-কম) এবং রিলায়্যান্স ইনফ্রাটেল লিমিটেডের -এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)। তারই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত।

স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে মুম্বইয়ের ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের সামনে দাবি জানানো হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনিলের মালিকানাধীন কোনও সংস্থাই যাতে সম্পত্তি কেনাবেচা করতে না পারে, তার নির্দেশ জারি হোক। কিন্তু আজ আদালত সেই দাবি খারিজ করায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন রিলায়্যান্স অনিল ধীরুভাই অম্বানী গ্রুপের কর্ণধার। অনিলের মুখপাত্র আজ বলেন, ‘‘ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কোনও প্রভাব রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড, রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড ও রিলায়েন্স ক্যাপিটাল লিমিটেডের উপর পড়বে না।’’

২০১৬ সালে আর-কম এবং রিলায়্যান্স ইনফ্রাটেল লিমিটেডের হয়ে ঋণ নেওয়ার সময় অনিল অম্বানী নিজেকেই ব্যক্তিগত গ্যারান্টর হিসেবে দেখিয়েছিলেন। অঙ্কটি ছিল প্রায় ১৬ কোটি ডলার (প্রায় ১,১৯৯ কোটি টাকা) কিন্তু অনিলের প্রায় সব সংস্থাই ঋণে জর্জরিত। ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থাই নেই। এই পরিস্থিতিতে বকেয়া উদ্ধারের জন্য ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। এই ট্রাইব্যুনালেই দেউলিয়া মামলার শুনানি হয়।

আরও পড়ুন: ‘শেষ করব অন্ধকারের যুগ’, ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে ঘোষণা বাইডেনের

শুধু এসবিআই নয়, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক’-সহ চিনের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং দেশি-বিদেশি সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করার অভিযোগ রয়েছে অনিলের বিরুদ্ধে। গত বছরের মার্চে এরিকসনের সঙ্গে এমনই একটি মামলায় হেরে গিয়েছিল অনিলের সংস্থা আর কম। ৫৮০ কোটি টাকা শোধ না করলে তাঁকে জেলে যেতে হবে বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শেষ মুহূর্তে সেই টাকা শোধ করে অনিলকে জেলযাত্রা থেকে রক্ষা করেছিলেন তাঁর দাদা মুকেশ।

আরও পড়ুন: লকডাউনে আটকে পাকিস্তানে, ভারতীয় নাগরিকত্বপ্রার্থী হিন্দুরা সঙ্কটে

চিনা ব্যাঙ্কগুলি লন্ডনের আদালতে ঋণ শোধ না করার মামলা দায়ের করেছিল অনিলের বিরুদ্ধে। সেখানে শুনানি পর্বে তাঁর আইনজীবী রবার্ট হাওয়ি বলেছিলেন, ‘‘১০০ কোটি ডলার দূর অস্ত, আমার মক্কেলের এখন ১০ লক্ষ ডলার দেওয়ারও ক্ষমতা নেই।’’ মে মাসে লন্ডনের আদালতের রায়ও অনিলের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এর পর চিনা ব্যাঙ্কগুলি অনিলের সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে আইনি তৎপরতাও শুরু করেছে।

Anil Ambani National Company Law Tribunal bankruptcy administrator NCLT Reliance Communications Reliance Infratel Reliance Infrastructure

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।