গত মাসে ভারতের শেয়ার বাজারে পুঁজি ঢালার পরিমাণ কমিয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। সব মিলিয়ে অগস্টে তারা লগ্নি করেছে ৭৩২০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত রেকর্ড বাজারে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণেই হাত গুটিয়ে ছিল ওই সব সংস্থা। দামের দিক থেকে দেখতে গেলে ভারত এখন প্রথম স্থানে। অর্থাৎ, এখানে লগ্নির খরচ বেশি। পাশাপাশি, জাপানে সুদ বৃদ্ধির জেরে সেখানকার বাজারে আকর্ষণও ভারত থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল তাদের।
ডিপোজ়িটরির তথ্য বলছে, জুলাইয়ে ভারতের শেয়ারে বিদেশি লগ্নিকারীরা ঢেলেছিল ৩২,৩৬৫ কোটি টাকা। জুনে সেই অঙ্ক ছিল ২৬,৫৬৫ কোটি। সেই লগ্নিই গত মাসে অনেকটা কমেছে। পাশাপাশি, অগস্টে ঋণপত্রের বাজারেও ১৭,৯৬০ কোটি টাকা ঢেলেছে ওই সব সংস্থা। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ভারতের শেয়ারে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৪২,৮৮৫ কোটি ও ঋণপত্রে ১.০৮ লক্ষ কোটি।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামীদিনে শেয়ারে বিদেশি লগ্নির বিষয়টি নির্ভর করবে বেশ কিছু ঘটনার উপরে। সেগুলি হল—
- দেশে রাজনৈতিক স্থিরতা।
- অর্থনীতির হালহকিকত।
- কোন শিল্প ক্ষেত্র কেমন করছে।
- বিশ্বে সুদের ওঠানামা।
- শেয়ারের দরের গতিপ্রকৃতি।
- ঋণপত্রের বাজারের আকর্ষণ।
অন্য দিকে, ভারতের ঋণপত্রে গতি এসেছে নানা ঘটনার উপরে ভর করে। যার মধ্যে রয়েছে—
- বিশ্বের সূচকে ভারতের বন্ড।
- আকর্ষণীয় সুদের হার।
- টাকার দামে স্থিতিশীলতা।
- আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আসা।
- শেয়ারের বাইরে লগ্নির আগ্রহ।
- দীর্ঘ মেয়াদে ভাল রিটার্নের আশা।
বিদেশি লগ্নিকারীরা কোন পথকে বেছে নেয়, এখন সেটাই দেখার।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)