— প্রতীকী চিত্র।
এক দিকে, ভারতের বাজারে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের চড়া দাম। অন্য দিকে, চিনে সরকারের বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা এবং সেখানকার শেয়ারের আকর্ষণীয় দর। এই দুইয়ের জেরে এ দেশের বাজার থেকে পুঁজি তুলে নিচ্ছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। অক্টোবরে এখনও পর্যন্ত (১-২৫ তারিখ) যার অঙ্ক ৮৫,৭৯০ কোটি টাকা। যা এ পর্যন্ত কোনও এক মাসে সর্বাধিক। মাসের আরও কয়েক দিনের লেনদেন বাকি। ফলে আরও বিদেশি পুঁজি ভারতের বাজার থেকে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের।
ডিপোজ়িটরির কাছে জমা থাকা তথ্য বলছে, এপ্রিল-মে মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলি এ দেশের শেয়ার বাজার থেকে ৩৪,২৫২ কোটি টাকার তহবিল তুলেছিল। তার পরে জুন, জুলাই এবং অগস্টে তারা ঢেলেছে যথাক্রমে ২৬,৫৬৫ কোটি, ৩২,৩৬৫ কোটি এবং ৭৩২০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে ২০২৪ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুঁজি লগ্নি করেছিল ওই সব সংস্থা। যার অঙ্ক ৫৭,৭২৪ কোটি। সব মিলিয়ে এ বছরে এখনও পর্যন্ত ওই সমস্ত সংস্থার ভারতের শেয়ারে লগ্নির অঙ্ক ১৪,৮২০ কোটি।
পাশাপাশি, ভারতের ঋণপত্রের বাজারে কিছুটা হলেও গতি এসেছে। ২০২৪ সালে বিদেশি লগ্নিকারীরা ঢেলেছে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা তো ছিলই। তার উপরে চিনের বাজারের আকর্ষণ বৃদ্ধি বিদেশি লগ্নিকারীদের সে দেশে টেনে নিয়ে গিয়েছে। ফলে ভারতের মতো বাজার জৌলুস হারাচ্ছে তাদের কাছে। এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছেন না তাঁরা। তার উপরে সামনেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, রয়েছে সেখানে সুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও। ফলে সব মিলিয়ে সতর্ক হয়েই সম্ভাবনাময় দেশের বাজারে পা রাখছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। আর এর জেরে পুঁজি হারাচ্ছে ভারতের শেয়ার বাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy