Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Food Inflation

খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মুখ ৯ শতাংশের দিকে

সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নামমাত্র হলেও সার্বিক ভাবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছে। হয়েছে ৪.৮৩%, ১১ মাসে সব থেকে কম। মার্চে ছিল ৪.৮৫%।

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ০৭:৩০
Share: Save:

যেটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক সেটাই ঘটল। মাথা নামানোর বদলে গত মাসে খুচরো বাজারে আরও খানিকটা চড়ে গেল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। গৃহস্থের সংসার খরচ বাড়িয়ে আনাজ থেকে শুরু করে ডাল, ফল ইত্যাদির দাম বেড়েছে। ডিম, মাংস, মশলা, খাদ্যশস্য ইত্যাদি একটু মাথা নামালেও যথেষ্ট চড়া। তবে সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নামমাত্র হলেও সার্বিক ভাবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছে। হয়েছে ৪.৮৩%, ১১ মাসে সব থেকে কম। মার্চে ছিল ৪.৮৫%। যদিও আগের বছরের এপ্রিলের ৪.৭০% থেকে এ বারের হার বেশি।

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, ঠান্ডা পড়লে সাধারণত সস্তায় আনাজ মেলে। কিন্তু গত শীতে সেটা হয়নি। তখনই বোঝা গিয়েছিল গ্রীষ্মে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরী বলছেন, ‘‘এমনতিই গরমের সময় আনাজ-সহ কৃষিপণ্যের দাম চড়ে। এ বারও সেটা হয়েছে। আর খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হিসাবের ক্ষেত্রে অর্ধেকটা জুড়ে খাদ্যপণ্য। ফলে সেই দামে রাশ না পড়লে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিকে ধারাবাহিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন।’’ তিনি মনে করছেন, দীর্ঘ মেয়াদে মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানোর সম্ভাবনা তৈরি না হলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক হয়তো সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ করবে না। একাংশের মতে, সুদ কমার পথ চওড়া করতেই খাদ্যপণ্যের সস্তা হওয়া দরকার ছিল। সরকার মরিয়া হয়ে সেই চেষ্টা করলেও লাভ হল না। এপ্রিলের পরিসংখ্যান বরং ভোটের মধ্যে তাদের অস্বস্তি বাড়াল। সুদ না কমলে লগ্নি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে না। তবে সরকারি মহলের দাবি, স্বস্তি দিয়ে কমেছে মূল্যবৃদ্ধি। বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হওয়ার পূর্বাভাস মিলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের বক্তব্য, ‘‘সার্বিক খুচরো মূল্যবৃদ্ধি কমছে, অথচ খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে তা বাড়ছে। এতে মানুষের তেমন সুরাহা হয় না। কারণ, সংসার খরচ বেড়ে যায় অত্যাবশ্যক খাতে।’’ দেশে ডিজ়েলের দাম যথেষ্ট পরিমাণে না কমাও খাদ্যপণ্যের দাম চড়ে থাকার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তিনি। যে কারণে একাংশের দাবি, ভোটের মুখে ডিজ়েল মাত্র ২ টাকা কমিয়ে লাভ হয়নি। তা আরও কমানো হোক। প্রয়োজনে তেলের উৎপাদন শুল্কে ছাড় দিক কেন্দ্র। যাতে খাদ্যপণ্য পরিবহণের খরচ কমায় খুচরো বাজারে দাম কমলে একটু স্বস্তি পান আমজনতা।

অন্য বিষয়গুলি:

Inflation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy