—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারে বহু দিন ধরে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ৮০ ডলারের নীচে। ফলে বারবার প্রশ্ন উঠছে, দেশে তা হলে কেন দাম কমছে না? কেন পেট্রল-ডিজ়েল প্রায় দু’বছর ধরে স্থির? এরই মধ্যে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি এপ্রিল-ডিসেম্বরে বিপুল নিট লাভের খতিয়ান প্রকাশ করায় জ্বালানির দাম কমিয়ে এ বার অন্তত মানুষকে সুরাহা দেওয়ার দাবি ওঠে। এ নিয়ে বুধবার আবার মোদী সরকারকে বিঁধেছে বিরোধী কংগ্রেস। তবে এখনও দাম স্থির রাখার পক্ষে তেল শিল্প সূত্রের যুক্তি, পেট্রলে সংস্থাগুলির লাভের হার কমেছে। ডিজ়েলে লিটারে ৩ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। বিশ্ব বাজারেও তেলের দরে অস্থিরতা বহাল। ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, গোটা বিষয়টি ঘিরে ধোঁয়াশা। দাম কমাতে আর কোন ‘সুবিধাজনক’ পরিস্থিতির অপেক্ষা করা হচ্ছে স্পষ্ট নয়।
এক্স-এ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে মূল্যবৃদ্ধি ও নানা বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রের কীর্তি দেখুন— দু’বছরে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ৩৮% কমেছে। অথচ মানুষ (তারা) লুঠ করে চলেছে। এটা জনগণের প্রতি অবিচার।’’ তাঁর দাবি, কেন্দ্র মানুষের টাকা লুঠ করছে ও ‘বন্ধু’ পুঁজিপতিদের পকেট ভারী করছে বলে রাহুল গান্ধীর বার্তা ফের সত্যি প্রমাণ হল।
ভোটের মুখে দেশে তেলের দাম কমতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীও সেই আশা ওড়াননি। তবে টানা কয়েক মাস বিশ্ব বাজারের দামে স্থিতিশীলতার শর্ত জুড়েছিলেন। তবে সংশ্লিষ্ট একাংশের দাবি, ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেলে ৪-৫ ডলার ওঠানামা করছে। ফলে বেশির ভাগ সময়েই তা রয়েছে ৮০ ডলারের নীচে। যে ‘বাস্কেট’ থেকে ভারত অশোধিত তেল কেনে, তার দরও ডিসেম্বর থেকে ফের ৮০ ডলারের কম। তবু তার সুবিধা ক্রেতাকে দেওয়া হচ্ছে না। কলকাতায় প্রায় দু’বছর আইওসির পাম্পে পেট্রল লিটারে ১০৬.০৩ টাকা। ডিজ়েল ৯২.৭৬ টাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলের দর কমালেই খুচরো বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নামতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy