জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।
কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের অংশীদারি ৫১ শতাংশের নীচে নামানোর চেষ্টা হলে সংসদের দুই কক্ষেই প্রতিবাদের ঝড় তোলা হবে বলে জানাল কংগ্রেস। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিরোধী দলটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, গত ৭ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সংযুক্তির প্রতিবাদ কংগ্রেস করেনি। কারণ, ব্যাঙ্কগুলির রাষ্ট্রায়ত্ত তকমা অটুট রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ কমপক্ষে ৫১% শেয়ার রয়েছে কেন্দ্রের হাতেই। কিন্তু এই নীতি থেকে সরলে বিরোধীরা মানবেন না। এ দিকে, আজই মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে শক্তিশালী ব্যাঙ্কের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বলেছেন, সংখ্যা বৃদ্ধি নয়। বরং এমন ব্যাঙ্ক দরকার, যারা হবে আর্থিক দিক দিয়ে মজবুত ও সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত।
এখন দেশে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রয়েছে। ২৫টি ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে ৬টি ব্যাঙ্কে পরিণত করা হয়েছে। এ ছাড়া একক ভাবে আছে আরও ৬টি। রমেশ বলেন, “আকারে বড় হলেই ব্যাঙ্ক আগের থেকে ভাল হবে, এর অর্থ নেই। তা-ও সংযুক্তি মানা হয়েছে। কারণ, তাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের অংশীদারি ৫১ শতাংশের নীচে নামেনি। তবে ১২টি ব্যাঙ্কে সেই চেষ্টা হলে সংসদের দুই কক্ষেই তীব্র প্রতিবাদ করা হবে।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুক্রবার ছিল ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ দিবস। তা মনে করিয়ে রমেশ বলেন “৫৫ বছর আগে এ দিনেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের মতো সাহসী পদক্ষেপ করেছিলেন। ১৪টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ হয়। যা দেশের আর্থিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। কৃষি ও গ্রাম-সহ বহু অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে ঋণদানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’’
তবে বর্তমানে ব্যাঙ্কে ঋণবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমানত না বৃদ্ধি না হওয়া উদ্বেগের কারণ বলে মন্তব্য করেছেন শক্তিকান্ত। তিনি বলেন, অবস্থা না পাল্টালে ব্যাঙ্ক শিল্পে নগদের জোগানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যাহত হতে পারে ঋণদান। তাই সে দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি, কর্পোরেট সংস্থাকে ব্যাঙ্কিং লাইসেন্স দেওয়ার পরিকল্পনা শীর্ষ ব্যাঙ্কের নেই বলেও জানান তিনি। গভর্নরের মতে, সেটা হলে নিজেদের লোককে ঋণ দেওয়ার (রিলেটেড পার্টি ট্রানজ়াকশন) মতো সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা থাকে। যা থেকে স্বার্থের সংঘাত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy