Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Gautam Adani

কয়লা খনি নিয়ে তির আদানির দিকে

মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে চলা প্রতিযোগিতামূলক নিলামের রাস্তা বন্ধ করে গুরুত্বপূর্ণ কয়লাখনিগুলি আদানিদের দিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার।

An image of Gautam Adani

গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:১৭
Share: Save:

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। তোপ দাগছে মোদী সরকারের উদ্দেশেও। এ বার কংগ্রেসের অভিযোগ, আদানিদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই কয়লাখনি নিলামের বিধিতে বদল আনা হয়। মূলত দু’ভাবে খনিগুলি আদানিদের হাতে যাচ্ছে। সচিবদের বিশেষ কমিটির সিদ্ধান্তে এবং নিলামে বাকি দাবিদারদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে।

মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে চলা প্রতিযোগিতামূলক নিলামের রাস্তা বন্ধ করে গুরুত্বপূর্ণ কয়লাখনিগুলি আদানিদের দিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। যে ক্ষেত্রে আদানিরা ছাড়া আর কোনও দরদাতা ছিল না, সেই খনিও তুলে দেওয়া হয়েছে ওই শিল্প গোষ্ঠীর হাতে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দরদাতা ছিল আদানিদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থা। রমেশের দাবি, এই ভাবে নিলামে ‘কারচুপি’ করেছে আদানিরা। কয়লা নিলাম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ‘গুরুতর ভাবে’ ভাঙা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য যে কাছের বন্ধুদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া, তা আরও এক বার প্রমাণিত।’’

মোদী সরকার বাণিজ্যিক খননের জন্য কয়লাখনির নিলাম শুরু করার পর থেকে মোট সাতটি খনি পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। রমেশের দাবি, ২০২১ সালে মধ্যপ্রদেশের গোন্ডবেহরা উজ্জয়িনী ইস্ট কয়লাখনি নিলামে উঠলেও মাত্র এক জন আবেদনকারী থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু পরের বছর একই পরিস্থিতিতে খনিটি যায় আদানিদের হাতে। ২০২০ সালের মে মাসে করোনাকালে সচিবদের নিয়ে বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি তৈরি করেছিল কেন্দ্র। যে সমস্ত খনিতে এক জন মাত্র নিলামকারী দরপত্র জমা দেবে, সেই খনি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের। সেই কমিটির সিদ্ধান্তেই আদানিরা খনিটি পায়। এ ছাড়াও রমেশ দাবি করেছেন, দরদাতাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভিযোগ সত্ত্বেও তিনটি খনি দেওয়া হয়েছিল আদানিদের। মাধেরি এবং গোন্ডবেহরা উজ্জয়িনীর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দরদাতা ছিল খনন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা না থাকা কাভিল মাইনিং। এই সংস্থার প্রোমোটার আমদাবাদের আদিকর্প এন্টারপ্রাইজ়েসের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। আবার পুরুঙ্গা খনির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দরদাতা ছিল একটি নির্মাণ সংস্থা। যারা আদানিদের থেকে ৬০০০ কোটি টাকার বরাত পেয়েছিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy