E-Paper

এখনও আশঙ্কা বহাল কৃষি উৎপাদন ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে

গত সপ্তাহের শেষে বাজারকে ফের মূল্যবৃদ্ধির চড়ার আশঙ্কাই গ্রাস করেছিল। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.২৫ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু কম কৃষি উৎপাদন তাকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত ঠেলে তুলতে পারে।

inflation.

—প্রতীকী ছবি।

অমিতাভ গুহ সরকার

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ০৭:৪১
Share
Save

সেনসেক্স গত বুধবার নতুন নজির (৬৩,৫২৩) গড়লেও সপ্তাহ শেষে তা ধরে রাখতে পারেনি। বৃহস্পতি-শুক্রবার মোট ৫৪৪ পয়েন্ট নেমে ফিরে গিয়েছে ৬২ হাজারে (৬২,৯৭৯)। এটা ঠিক যে, উঁচু বাজারে লগ্নিকারীদের শেয়ার বেচে লাভ ঘরে তোলার তাগিদ বাড়ে। ফলে সংশোধন আসায় বাজার নামে। তবে গত দুই লেনদেনে সেটা ছাড়াও পতনের অন্য কারণ রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এর মধ্যে অন্যতম, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা উষ্ণ বাতাস এল নিনোর প্রভাবে কিছু অঞ্চলে কৃষিতে ক্ষতির আশঙ্কা। তীব্র তাপপ্রবাহও বর্ষা দেরিতে আসায় ফসল বোনার কাজ সময়ে হয়নি। ফলে কৃষি উৎপাদন কমার উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গবেষণা সংস্থা নমুরার অর্থনীতিবিদদের মতে, এল নিনোর প্রভাব বেশি হলে তা চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারকে ৫.৫ শতাংশে নামাতে পারে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ৬.৫%।

গত সপ্তাহের শেষে বাজারকে ফের মূল্যবৃদ্ধির চড়ার আশঙ্কাই গ্রাস করেছিল। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.২৫ শতাংশে নেমেছে। কিন্তু কম কৃষি উৎপাদন তাকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত ঠেলে তুলতে পারে। ফলে দেশে থমকে যাওয়া সুদ যে বাড়বে না, তা বলা যাচ্ছে না। কৃষিকাজ মার খেলে গ্রামীণ অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়তে পারে। তাতে চাহিদা কমবে পণ্যের। যা সার্বিক চাহিদাকে আরও ঢিমে করবে। চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং ঢিমে চাহিদায় সংস্থা উৎপাদন কমাবে। লগ্নিকে করবে নিরুৎসাহ। ধাক্কা খাবে কর্মসংস্থান। ফলে আগামী ক’মাস শেয়ার বাজার তেজী থাকবে কি না বলা মুশকিল।

পশ্চিমের দেশগুলির অর্থনীতিও ভাল জায়গায় নেই। গত সপ্তাহে ব্রিটেনে সুদ বেড়েছে। ইউরোপীয় অঞ্চলের শীর্ষ ব্যাঙ্কও সুদ বাড়িয়েছে। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় অর্থনীতি ঝিমিয়ে পড়ায় টানা কমছে ভারতের রফতানি। এটিও বড় চিন্তার বিষয়।

প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে চোখ ছিল বাজারের। দেশে যুদ্ধ বিমানের এঞ্জিন তৈরির জন্যে জিই অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। আমেরিকার প্রযুক্তিতে তা তৈরি করবে হিন্দুস্তান এয়্যারোনটিক্স। ভারতে সেমিকনডাক্টর চিপ তৈরি করবে আমেরিকার মাইক্রন টেকনোলজি। এল নিনোর চাপ থাকায় এই সব খবরের সদর্থক প্রভাব দেখা যায়নি শেয়ার সূচকের উপরে। তবে প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বনির্ভর হতে হবে, কেন্দ্রের এই বার্তায় বেশ চাঙ্গা হয়েছে এ ক্ষেত্রের ডজন খানেক সংস্থা। ভবিষ্যতে এই শিল্প ভাল করবে, এই আশায় এরই মধ্যে এসেছে ডিফেন্স ফান্ড।

(মতামত ব্যক্তিগত)

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Economy Inflation

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।