—প্রতীকী চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ ট্রাক চলাচল হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে। কিন্তু পড়শির কাছে পাঠানো পণ্যের দাম ফেরত পাওয়া যাবে কি? এই প্রশ্নেই চিন্তিত ভারতের রফতানিকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশে এখন কার্যত কোনও সরকার নেই। এই অবস্থায় সে দেশের যে আমদানিকারীরা পণ্য কিনছেন, তাঁরা আদৌ দাম চোকাতে পারবেন তো? এই অনিশ্চয়তা থেকেই বহু রফতানিকারী আপাতত সেখানে পণ্য না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দু’টি দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকার ও ব্যাঙ্কের বড় ভূমিকা থাকে। আমদানিকারীরা সাধারণত সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের দাম মেটান না। তার নিশ্চয়তা হিসেবে ব্যাঙ্কের মঞ্জুর করা ‘লেটার অব ক্রেডিট’ রফতানিকারীকে দেন। আমদানিকারী পণ্যের দাম মেটাতে ব্যর্থ হলে ব্যাঙ্ক সেই দাম মিটিয়ে দেয়।
রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়োর ডিজি-সিইও অজয় সহায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এখন যা পরিস্থিতি তাতে লেটার অব ক্রেডিট হাতে থাকলেও সে দেশের ব্যাঙ্ক তা কতটা মেনে দাম মেটাবে, সে ব্যাপারে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, রফতানিকৃত পণ্য বন্দর থেকে খালাস করার ক্ষেত্রে শুল্ক বিভাগের বড় ভূমিকা থাকে। তাদের ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত বন্দর থেকে পণ্য বার করা যায় না। বাংলাদেশে এখনকার পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি নিয়েও রফতানিকারীরা উদ্বিগ্ন। আর বন্দরে পণ্য আটকে থাকলে রফতানি খরচ বাড়ে। এঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাকেশ শাহের কথায়, ‘‘হাতে বরাত থাকলেও এই সব অনিশ্চয়তার কারণে রফতানিকারীরা বাংলাদেশে পণ্য পাঠানোর আগে দু’বার ভাবছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy