ফাইল চিত্র।
নির্দেশ আসবে কথাই ছিল। সেই মতো বছর শেষে এসে ছ’মাসের মধ্যে দেশে বাধ্যতামূলক ভাবে ফ্লেক্সি ফুয়েল ইঞ্জিন চালিত গাড়ি আনার জন্য সোমবার সংস্থাগুলিকে বলল কেন্দ্র। এ ধরনের ইঞ্জিন পুরো পেট্রল, পুরো জৈব ইথানল অথবা দু’টো মেশানো জ্বালানিতে চলে। পাশাপাশি, তা হতে পারে বিদ্যুৎ চালিতও। সোমবার সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী টুইটে এ কথা জানিয়ে বলেন, দূষণ মাপকাঠি ভারত স্টেজ-৬ মেনে সেগুলি আনতে হবে গাড়ি শিল্পকে। তবে কেন্দ্র এতে দূষণ কমানো, চড়া তেলের দাম থেকে সুরাহা মেলা এবং আমদানি নির্ভরতা কমানোর যুক্তি দিলেও, এত দ্রুত কী ভাবে সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এখন পেট্রলে ৮.৫% ইথানল মেশানো হয়। কেন্দ্রের লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে তা ২০% করা। এ দিকে, শুল্ক ছাঁটাইয়ের পরে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম রেকর্ড উচ্চতা থেকে নামলেও, এখনও যথেষ্ট চড়া। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প জ্বালানিতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।
যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ বলছে, করোনার আগে থেকেই অর্থনীতির ঝিমুনিতে কার্যত তলানিতে গাড়ি ব্যবসা। সেখানে এত দ্রুত কী ভাবে নতুন লগ্নির পথে হাঁটবে সংস্থাগুলি? কাঁচামালের চড়া দর এবং সেমিকন্ডাকটরের অভাব মেটানোর বদলে কেন নতুন প্রযুক্তির পথে তাদের হাঁটতে বাধ্য করছে মোদী সরকার? তা ছাড়া, বৈদ্যুতিক বা বায়ো ফুয়েল গাড়ি আনা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার অঙ্গ। তাতে জোর না-দিয়ে কেন্দ্রের এখন চাহিদা বাড়ানোর উপায় খোঁজা জরুরি বলেও মনে করছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy