—প্রতীকী চিত্র।
প্রবল গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে ১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত পুরোদমে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। আর এ বার যে ১৫টি কেন্দ্রে কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, সেগুলিকেও টানা কাজ চালাতে নির্দেশ দিল সরকার। যাদের মধ্যে রয়েছে টাটা পাওয়ার, গুজরাতের মুন্দ্রায় আদানি পাওয়ারের কেন্দ্র, জেএসডব্লিউয়ের উৎপাদন কেন্দ্র। সম্প্রতি বিদ্যুৎ মন্ত্রক জানিয়েছে, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ওই সমস্ত কেন্দ্রে পুরোদমে উৎপাদন চালাতে হবে। গত অক্টোবরে সেই সময়সীমা এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বেঁধেছিল কেন্দ্র।
চাহিদা অনুসারে বিদ্যুতের জোগান না থাকায় বছর দুয়েক আগে প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপর্যস্ত হয়েছিলেন দেশবাসী। ক্ষোভ মাথা তোলে বিভিন্ন প্রান্তে। পরিস্থিতির থেকে শিক্ষা নিয়ে গত বছর সেই সঙ্কট থেকে বাঁচতে বিদ্যুৎ আইন ২০০৩-এর ১১ নম্বর ধারা অনুসারে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। যার মধ্যে ছিল কয়লা আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে উৎপাদন বাড়ানোর কথাও। এ ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদিত কয়লার সঙ্গে আমদানি করা কয়লা মিশিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা বলা হয়েছিল।
প্রথমে ২০২৩ সালের ১৫ জুন পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি করা হলেও, পরে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর করা হয়। অক্টোবরে কেন্দ্র জানায়, আমদানি করে কয়লা এনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালালে সেখানে পুরোদমে উৎপাদন করতে হবে এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ বার লোকসভা ভোটের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি তথা লোডশেডিং এড়াতে সেই সময় আরও সাড়ে তিন মাস বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল বিদ্যুৎ মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy