—প্রতীকী চিত্র।
চাষের সময় ব্যবহার করা কীটনাশকের যেটুকু খাদ্যপণ্যে থেকে গেলে শরীরের ক্ষতি হয় না, সেই সর্বোচ্চ সীমা মেনে চলা নিয়ে সারা বিশ্বে অন্যতম কঠোর ভারতের নিয়ম, দাবি কেন্দ্রের। রবিবার এই বার্তা দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বেশি পরিমাণ কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থাকা মশলা এবং ভেষজ সামগ্রী ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই বিক্রির অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে বলে ছড়ানো জল্পনা ওড়াল তারা।
এ দেশের এভারেস্ট এবং এমডিএইচের কিছু মশলাকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিক্রি বন্ধ করেছে সিঙ্গাপুর এবং হংকং। অভিযোগ তুলেছে, সেগুলিতে মাত্রাতিরিক্ত এথিলিন অক্সাইড রয়েছে, যা মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে খেলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এই প্রেক্ষিতেই খবর ছড়ায়, মশলা এবং ভেষজ খাদ্যপণ্যে অনুমোদিত সীমার থেকে ১০ গুণ বেশি কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থাকলেও সেগুলিকে অনুমোদন করছে এফএসএসএআই। এ দিন এই সব রিপোর্টকেই মিথ্যে এবং ক্ষতিকারক বলে তোপ দেগেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই সঙ্গে খাবারে থেকে যাওয়া ওই অবশিষ্টাংশের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত বিধির ব্যাপারে ভারত কতটা কড়া, সেই দাবিও করেছে।
তবে একই সঙ্গে তাদের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ঝুঁকির পরিমাপ করে ওই ঊর্ধ্বসীমা আলাদা আলাদা ভাবে স্থির হয়। কোন খাবারে কতটা কীটনাশক রয়ে যাচ্ছে এবং তা কতটা ঝুঁকির, সেটা পরীক্ষা করে দেখে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিজ্ঞান বিষয়ক কমিটি। সেই অনুযায়ী কোনটিতে সর্বোচ্চ কতটা কীটনাশক থাকলে ক্ষতি নেই, সেই ঊর্ধ্বসীমা সুপারিশ করে তারা। একটি কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের ঊর্ধ্বসীমা বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে তাই আলাদা আলাদা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy