— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশ জুড়ে হোটেল-রেস্তরাঁয় খাওয়ার ঝোঁক বাড়ছে। রেস্তরাঁগুলির জাতীয় সংগঠন এনআরএআই-এর সমীক্ষা বলছে, সেই দৌড়ে পিছিয়ে নেই কলকাতাও। এই শহরে মাসে রেস্তরাঁয় খাওয়ার মাথাপিছু খরচ ৯৬০ টাকা। তিন জনের পরিবার হলে দাঁড়ায় ২৮৮০ টাকা। দু’মাসে কমপক্ষে ন’বার রেস্তরাঁ সফর করেন কলকাতাবাসী। বাইরে থেকে অর্ডার করেন কমবেশি সাত বার। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে প্রায় আট দিন বাড়িতে তৈরি খাবার খান না।
রেস্তরাঁয় গিয়ে বা বাড়িতে অর্ডারের তালিকার শীর্ষে চিনা খাবার— নুডলস, চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস। তবে চিনা প্রতিযোগীদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পাস্তা-পিৎজ়ার মতো ইটালিয়ান খাদ্য। সামান্য পিছিয়ে মোগলাই, মানে বিরিয়ানি, চিকেন চাপ ইত্যাদি। সমীক্ষা অনুযায়ী, কলকাতার ৫২% চিনা খাবারে মজে, ৪৫% পাস্তা-পিৎজ়ায় আর ৪২ শতাংশের পছন্দ মোগলাই। এর পরেও এনআরএআই-এর কলকাতার প্রধান অভিমন্যু মাহেশ্বরীর দাবি, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য লাল ফিতের ফাঁস বড্ড কড়া। এগুলিকে শিথিল না করলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা বাড়বে।
করোনায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল রেস্তরাঁ ব্যবসা। পরে অনেকেই অভ্যস্ত হয়েছেন অর্ডার দিয়ে খাবার আনানোয়। সেই সুযোগ নিতে গজিয়ে ওঠে অসংখ্য রেস্তরাঁ। রিপোর্ট বলছে, কলকাতায় ছোট-বড় মিলিয়ে সংখ্যাটা ৬১,৩০৫। এর ৩৩,৭১৮টি সংগঠিত। অর্থাৎ সরকারের খাতায় নাম আছে। দেশে সংগঠিত রেস্তরাঁ ব্যবসার নিরিখে কলকাতা সপ্তম। তার অঙ্ক প্রায় ৮০৫৫ কোটি টাকা। তবে সরকারি স্বীকৃতিহীন অসংগঠিত রেস্তরাঁও ব্যবসা
করে প্রায় ৭৫০০ কোটি। মাহেশ্বরী বলেন, ‘‘কলকাতা বরাবর রেস্তরাঁর ব্যবসায় উপরের দিকে। তবে তা মার খাচ্ছে অসংগঠিতগুলির কারণে। সরকারেরও রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy