গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে আগামী ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি গোষ্ঠীর দুই সংস্থা আদানি পাওয়ার এবং আদানি গ্রিন এনার্জি। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক দু’মাস আগে এই চুক্তি নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সে রাজ্যের মহাযুতি সরকারের উদ্দেশে কংগ্রেসের কটাক্ষ, নির্বাচনে তাদের বিদায় কার্যত নিশ্চিত। তার আগে শেষ কয়েকটা দিন আদানিদের সেবায় নিজেদের নিযুক্ত রাখতে চাইছে এই সরকার। যাদের বৃহত্তম শরিক বিজেপি। সরকারি সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, এখন তারা যে দামে বিদ্যুৎ কেনে, তার চেয়ে কম খরচে আদানিদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
জেএসডব্লিউ এবং টরেন্ট পাওয়ারকে পিছনে ফেলে এই প্রকল্পের বরাত পেয়েছে আদানিরা। তবে দরপত্রের পদ্ধতি এবং বিদ্যুৎ কেনার খরচ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘‘মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকার ভরাডুবির দিকে এগিয়ে চলেছে। শেষ কয়েকটা দিন মোদানি এন্টারপ্রাইজ় চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।’’ রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতা কমানোর জন্য সাধারণ নির্দেশিকা থেকে দরপত্রের শর্ত বদল করা হয়েছিল। অজৈবিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, এই অভিযোগ কি মিথ্যা?’’ কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, চুক্তিতে ১৬০০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। প্রতি মেগাওয়াটের দাম ধার্য হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। কিন্তু আদানিরাই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভেল-কে ৭ কোটি টাকায় বিদ্যুৎ বিক্রি করে। এনটিপিসি, ডিভিসিকে বিক্রি করে ৮-৯ কোটি টাকায়। এমনকি, বিকল্প বিদ্যুতের জন্যও গৌতম আদানির সংস্থাকে বেশি টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলটি।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মুম্বইয়ের ধারাভি পুনর্গঠনের বরাত আদানিদের দেওয়া নিয়ে বিজেপিকে ক্রমাগত বিঁধে চলেছে কংগ্রেস। বিদ্যুৎ চুক্তিকেও নির্বাচনী প্রচারের বিষয় করতে চলেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy