গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশে দুর্নাম রটেছে। আদানিদের শেয়ার দর বিপুল পড়ায় ক্ষতি হয়েছে লগ্নিকারীদের। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের তদন্তও চলছে দেশে। লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বার্ষিক সাধারণ সভার মঞ্চ থেকে ফের আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কর্ণধার গৌতম আদানি। দাবি করলেন, বদনাম করার ‘দূরভিসন্ধি’ নিয়েই তাঁর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল শর্ট সেলারটি (স্বল্প মেয়াদে শেয়ার লেনদেনকারী)। উদ্দেশ্য ছিল, এর ধাক্কায় শেয়ার দরে পতনের সুযোগ নিয়ে মুনাফা কামানো। উল্লেখ্য, শর্ট সেলাররা আগে থেকে শেয়ার বিক্রি করে রাখে। নির্দিষ্ট দিনে বাজার থেকে কিনে সেই শেয়ার লগ্নিকারীদের হস্তান্তর করে। ফলে সেগুলির দর পড়লে সুবিধা হয় তাদের। আদানির ইঙ্গিত সেই দিকেই।
সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য দাবি, ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া আদানি। নতুন লগ্নি, অধিগ্রহণ, আগাম ঋণ শোধের পাশাপাশি তাই হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের বিরুদ্ধেও নিয়ম করে পাল্টা স্বার্থসিদ্ধির অভিযোগ তুলছেন। সম্প্রতি শেয়ারহোল্ডারদের পাঠানো বার্ষিক বার্তাতেও দাবি করেছিলেন, তাঁর সংস্থা পরিচালনা এবং অন্যান্য নিয়ম মানার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী।
এ দিন প্রতারণার অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ‘মাতৃভূমি’ সম্বোধন করে আদানি ভারতের অগ্রগতিতে আস্থা রাখার কথা এবং তাঁদের সংস্থার ক্ষমতায় বিশ্বাস রাখার কথাও বলেছেন। লগ্নিকারীদের আশ্বাস দিয়েছেন, গোষ্ঠীর কার্যকরী মূলধন এবং সম্পদ আগের তুলনায় বেড়েছে। যে ভাবে সংস্থা অধিগ্রহণ করে দেশ জুড়ে তাঁরা ব্যবসা বাড়িয়েছেন, সে ভাবেই তা ঢেলে সাজানোর পথে হেঁটে নতুন ক্ষেত্রে পা রাখা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পরে আদানি গোষ্ঠীর প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের (প্রায় ১২,৩০৬ কোটি টাকা) শেয়ারমূল্য মুছে গিয়েছে। ধনীতম ভারতীয়ের তকমাও হারিয়েছেন গৌতম। তাঁর পাল্টা অভিযোগ ছিল, ভুল তথ্য দিয়ে নিজেদের আর্থিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য আদানি গোষ্ঠীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে হিন্ডেনবার্গ। এ দিনও বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে দেওয়া কিছু বিষয়ে ভুল তথ্য এবং মিথ্যা অভিযোগের মিশেল ওই রিপোর্ট। যেগুলির অধিকাংশই ২০০৪-২০১৫ সালের। নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়গুলির সমাধানও করে নেওয়া হয়েছে।’’ আদানির দাবি, ‘‘বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়তে এক মাস বাকি। তবে আমাদের সংস্থা পরিচালনা এবং তথ্য প্রকাশের বিধি পালন সম্পর্কে আস্থা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy