হৃষিকেশ সাহা স্মরণিকা প্রতিশ্রুতি
শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্সের আদর্শ এবং আলোর দিশারী - হৃষিকেশ সাহার ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হল গত ১০ ডিসেম্বর। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত ঠিকানা হৃষিকেশ-এ এই উদ্যাপন অনুষ্ঠান হয়।
হৃষিকেশ সাহার একটি পারিবারিক নির্মাণ ব্যবসা ছিল। তাঁর নেতৃত্বেই এই সংস্থা ত্রিপুরা জুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ কাজ করে যা, সাহা পরিবারের খ্যাতি বৃদ্ধি করেছিল। তাঁর নির্মিত সড়ক ও সেতু নিছক নির্মাণ হিসেবে নয়, বরং অসংখ্য মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর সেতুবন্ধন করে দেয়। এই সব কাজের মধ্যে দিয়েই তিনি সেই সব মানুষের মনে বেঁচে আছেন।
কলকাতায় এমন অনেক আশ্রয়স্থল আছে, যেখানে অল্পবয়সী সেই সব মেয়েকে আশ্রয় দেওয়া হয়, পরিবার-পরিজন যাদের পরিত্যাগ করেছে। এমনই এক আশ্রয়স্থলের আবাসিকদের পাশে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে ‘দুর্গা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’, শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্সেরই একটি সামাজিক উদ্যোগ। যাতে সেই ছোট ছোট মেয়েরা আদর, যত্ন ও ভালবাসা পায়। তাঁদের সমবেত প্রচেষ্টায় এমন অনেক মেয়ে প্রতিকূলতার বেড়াজাল কাটিয়ে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স, তাদের আদর্শ ও আলোর দিশারী হৃষিকেশ সাহার জন্মবার্ষিকীতে আরও এক বার ‘দুর্গা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এর সামাজিক উদ্যোগগুলির পাশে থাকার অঙ্গীকার তো করলই, সেই সঙ্গে কিছু বাড়তি দায়িত্বও নিল। এর মধ্যে আছে ওই মেয়েদের জন্য শিক্ষক, ক্রীড়া প্রশিক্ষক, যোগ প্রশিক্ষক, চিকিৎসক, ট্যালেন্ট কোচ ও মেন্টরের ব্যবস্থা করা, যাতে তাদের সার্বিক বিকাশ হয় এবং তাদের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত তৈরি করা যায়। পাশাপাশি বছরভর তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ, লেখাপড়া ও খেলাধুলোর সামগ্রীর ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে হৃষিকেশ সাহার স্ত্রী বেলা সাহা বলেন, “আমার স্বামী নিজে সুস্থ ও হাসিখুশি জীবনযাপন করতে পছন্দ করতেন। আর পাঁচ জনের জন্যও তিনি সেটাই কামনা করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, সকলের ভাল থাকাই সুস্থ ও সুখী সমাজ গড়ে তোলার চাবিকাঠি।”
হৃষিকেশ-বেলার পুত্র, সংস্থার অধিকর্তা রূপক সাহা বলেন, “কারও কোনও রকম সাহায্য লাগলে বাবা সব সময়ে তাঁর পাশে থাকতেন। সে কারণেই অজস্র মানুষ ভালবেসে মনে রেখেছেন তাঁকে। সকলের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি।” পুত্রবধূ অর্পিতা সাহার সংযোজন, “এ কারণেই আমরা ওঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য শিবির, বার্ষিক ‘মেধা উৎসব’-এর মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। 'দুর্গা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস'-এর কর্মকাণ্ডের প্রতি নতুন করে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়াও একই কারণে। তিনি বরাবরই এই ধরনের উদ্যোগ ভালবাসতেন।”
অনুষ্ঠানে হৃষিকেশ সাহা স্মরণিকা প্রতিশ্রুতি পর ছোট ছোট মেয়েদের হাতে লেখাপড়া ও ছবি আঁকার সামগ্রী এবং শীতের জামাকাপড় তুলে দেওয়া হয়। উপহার হাতে পেয়ে তাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠান শেষে ছিল প্রীতি ভোজের আয়োজন।
এই প্রতিবেদনটি ‘শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy