ইউক্রেনে বন্ধ হল আমেরিকার দূতাবাস। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
রুশ বিমানহানার আশঙ্কায় ইউক্রেনের রাজধানী কিভে আমেরিকার দূতাবাস বন্ধ করা হল। বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের কনসুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ থেকে সাময়িক ভাবে কিভের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।’’
আর কয়েক দিন পরেই হুড়মুড়িয়ে এসে যাবে শীত। শুরু হয়ে যাবে প্রবল তুষারপাত। তার আগে মরিয়া রুশ ফৌজ আক্রমণের অভিঘাত বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা পশ্চিমি দুনিয়ার। আমেরিকার বিদেশ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গোয়েন্দা সূত্র মারফত কিভে রুশ বিমানহানার প্রস্তুতির কথা জানতে পারার পরেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার ছিল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০তম দিন। সে দিন সকালে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সেনা আমেরিকার ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা করে। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। এমনকি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের জন্য সামরিক বিধি সংশোধন করেছেন বলেও সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
ঘটনাচক্রে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের আগে বিদায়ী ‘লেম ডাক’ সরকারের প্রধান জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য যে শেষ দফার সমর সম্ভার বরাদ্দ করেছিলেন তার মধ্যেই ছিল ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস। কার্যত, পেন্টাগনের নীতি থেকে সরে মূল রুশ ভূখণ্ডে ওই অস্ত্রে হামলা চালানোর জন্য জ়েলেনস্কি সরকারকে অনুমতি দেন বাইডেন। এর জেরে ওয়াশিংটনের তীব্র সমালোচনা করেছিল পুতিন সরকার। আর তার পরেই দূতাবাস বন্ধের এই সিদ্ধান্ত।