Vinod Tawde

বিলি করার জন্য ১৫ কোটি আনার অভিযোগ, ভোটের মহারাষ্ট্রে ঘেরাও বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বিনোদ এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ২০২১ সালে নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে বিনোদকে নবদ্বীপ জ়োনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মোদী-শাহেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের আগের দিন নগদ বিলি করতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনোদ তাওড়ে বিরোধী জোটের সমর্থকদের হাতে ঘেরাও হয়েছেন বলে অভিযোগ। পালঘর জেলার বেরারে তাওড়ে একটি হোটেল থেকে টাকা বিলি করছিলেন বলে স্থানীয় বিধায়ক তথা কোঙ্কণ উপকূলের প্রভাবশালী নেতা বঞ্চিত বিকাশ আঘাড়ীর প্রধান হিতেন্দ্র ঠাকুরের অভিযোগ।

Advertisement

হিতেন্দ্র বলেন, ‘‘ওই হোটেলে তাওড়ের ঘর ঘেরাও করে আমরা পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধার করেছি। সঙ্গে একটি ডায়েরি পেয়েছি। তাতে লেখা আছে বিলি করার জন্য মোট ১৫ কোটি টাকা এনেছিলেন তিনি।’’ হিতেন্দ্রের ছেলে তথা নালাসোপাড়ার বিধায়ক ক্ষিতিজ ঠাকুর এবং তাঁর অনুগামীরা ওই ডায়েরিটি তাওড়ের থেকে ছিনিয়ে নেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। (তবে আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি।)

নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাওড়ের হোটেলের ঘর থেকে ৯ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দিকে, সোমবার সন্ধ্যা ৫ টায় ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার পরে ‘বহিরাগত’ বিজেপি নেতা কেন পালঘরে ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হিতেন্দ্র।

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বিনোদ এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। দু’দফায় মহারাষ্ট্র বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রথম বার ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯। দ্বিতীয় বার ২০০২ থেকে ২০১১। ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের বোরিভলি আসন থেকে জিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান প্রথম দেবেন্দ্র ফড়ণবীস মন্ত্রিসভায়। স্কুলশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষা, মেডিক্যাল শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি ক্রীড়া, সংস্কৃতি, মরাঠি ভাষ‌া দফতরও ছিল তাঁর হাতে। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এক সময় বিরোধী দলনেতাও ছিলেন বিনোদ। ২০২১ সালে নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে বিনোদকে নবদ্বীপ জ়োনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। বিজেপির ওই সাংগঠনিক জ়োনে ছিল মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement