HMPV Case in Gujarat

গুজরাতে আক্রান্ত আরও এক, এ বার ন’মাসের শিশুর দেহে মিলল এইচএমপি ভাইরাস

গুজরাতে প্রথম এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল গত ৬ জানুয়ারি। দু’মাসের এক শিশুর দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তারও জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৫

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গুজরাতে আরও এক শিশুর শরীরে মিলল এইচএমপি ভাইরাস। শনিবার অহমদাবাদে ন’মাসের এক শিশুর শরীরে এইচএমপিভি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই নিয়ে গুজরাতে এইচএমপিভিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল চার।

Advertisement

গত ৬ জানুয়ারি সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে ওই শিশুকে অহমদাবাদর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই রক্তের নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরে এইচএমপিভি সংক্রমণের হদিস পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। রাজ্যে চতুর্থ আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অহমদাবাদ পুর সভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই শিশু বা তার পরিবারের কোনও সদস্য দেশ কিংবা রাজ্যের বাইরেও যাননি।

গুজরাতে প্রথম এইচএমপিভি সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল গত ৬ জানুয়ারি। দু’মাসের এক শিশুর দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। পরিবারের সঙ্গে রাজস্থান থেকে গুজরাতে এসেছিল শিশুটি। তারও জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ ছিল। এর পর গত বৃহস্পতিবার অহমদাবাদে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের সংক্রামিত হওয়ার খবর মেলে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আট বছরের এক শিশুর দেহেও এইচএমপি ভাইরাস মিলেছে। আক্রান্ত শিশুটি এখনও হিম্মতনগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল।

সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি-র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তার পর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিনে ভাইরাসটির যে রূপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চিনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। সাধারণ এইচএমপিভি সংক্রমণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগা, ঘাম হওয়া, মাথা ধরা, পেশি ও গাঁটগুলিতে ব্যথা, ক্লান্তি এবং খিদে কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। সাধারণত, ১৩ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। তবে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরেও এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন