রুশ হানার ১০০০তম দিনটিকে স্মরণীয় করল ইউক্রেন। ছবি: সংগৃহীত।
রুশ হানার ১০০০তম দিনটিকে স্মরণীয় করল ইউক্রেন। মঙ্গলবার সকালে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সেনা ‘আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম’ (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
মস্কোর দাবি, মোট ছ’টি মাঝারিপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইউক্রেন সেনা। যার পাঁচটিকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের আগে বিদায়ী ‘লেম ডাক’ সরকারের প্রধান জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য যে শেষ দফার সমর সম্ভার বরাদ্দ করেছিলেন তার মধ্যেই ছিল এই এটিএসিএমএস। কার্যত, পেন্টাগনের নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে রুশ ভূখণ্ডে ওই অস্ত্রে হামলা চালানোরও অনুমতি দেন বাইডেন।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্পের পুত্র ডোনাল্ড জুনিয়র। এর ফলে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে এবং তার পরিণতিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে পারে বলে তাঁর হুঁশিয়ারি। ঘটনাচক্রে, বাইডেনকে নিশানা করার পাশাপাশি মঙ্গলবার ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার নতুন করে পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তাবও গ্রহণ করার কথাও জানিয়েছে পুতিন সরকার। ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার এটিএসিএমএস ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মাত্রা আনতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আমেরিকার সংস্থা লকহিড মার্টিন সংস্থার তৈরি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে প্রয়োজন হয় এম২৭০ মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস) অথবা চাকা-যুক্ত এম১৪২ হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমার্স)-এর। কঠিন জ্বালানি চালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশপথে চিহ্নিত করে ধ্বংস করা কঠিন। ২২৫ কিলোগ্রাম ওজনের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরকের পাশাপাশি এর ওয়ারহেডে এক সঙ্গে কয়েকশো ‘ক্লাস্টার বোমা’ ব্যবহার করা সম্ভব। ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে যা হতাহতের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।