Donald Trump

‘বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অবাধ আলোচনা চান’! ট্রাম্পের শপথে আমন্ত্রণ পেলেন চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং

কিন্তু ট্রাম্পের আমন্ত্রণে কি একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসক সাড়া দিয়েছেন? রিপাবলিকান মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও কোনও জবাব আসেনি। তবে শীঘ্রই জানাতে পারব।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২৬
(বাঁ দিকে) শি জিনপিং, ডোনাল্ড ট্রাম্প  (ডান দিকে) ।

(বাঁ দিকে) শি জিনপিং, ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে) । —ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁরা শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে হাজির থাকার জন্য জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে রিপাবলিকান পার্টির মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্প সব সময়ই বিশ্বনেতাদের সঙ্গে অবাধ আলোচনার পথ খোলা রাখতে চান।’’

Advertisement

কিন্তু ট্রাম্পের আমন্ত্রণে কি একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসক সাড়া দিয়েছেন? ক্যারোলিন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও কোনও জবাব আসেনি। তবে শীঘ্রই জানাতে পারব।’’ গত ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। ফল প্রকাশের পরে চিনা বিদেশ দফতরের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলবে চিন।’’

সেই সঙ্গে সরাসরি ট্রাম্পের নাম না করে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘‘সুযোগ নষ্ট না করা হলে এই ফলাফল বেজিং-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।’’ জিনপিং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ট্রাম্পকে ফোন করেন বলে একদলীয় চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রে জানানো হয়েছিল। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে ভূ-রাজনৈতিক খেলার প্রথম রাউন্ডে পরিস্থিতি ভারতের পক্ষে বেশ অনুকূল। যদিও লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-তে সংঘাতের ইতি টানতে ভারত-চিন সমঝোতা আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট কী ভাবে দেখবেন, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে সাউথ ব্লকে।

ঘটনাচক্রে, এ বার গোটা নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প একাধিক বার খোঁচা দিয়েছেন চিনকে। ট্রাম্প শিবির বার বার দাবি করেছে, দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকাকে ‘পুঁজি করে’ বেজিং নিজেদের ভাঁড়ার ভর্তি করেছে। তাদের বক্তব্য, আমেরিকায় উৎপাদন শিল্প ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়েছে, তখন এই ক্ষেত্রে নিজেদের সমৃদ্ধ করে গিয়েছে চিন। বস্তুত, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রথম ইনিংসেও আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের দাপাদাপি রুখতে ‘অতিরিক্ত শুল্ক’ (অ্যান্টি ডাম্পিং) ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ হয়েছিল। তা ছাড়া বাইডেনের জমানায় তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-চিনের সংঘাত ট্রাম্পের আমলে নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এই আবহে জিনপিংকে ট্রাম্পের শপথ-আমন্ত্রণ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন